রাজশাহী আইনজীবী সমিতির নেতৃত্ব হাতছাড়া আ.লীগের

রাজশাহী আইনজীবী সমিতির নেতৃত্ব হাতছাড়া হয়েছে আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীদের। নেতৃত্ব ফিরে পেয়েছে বিএনপি। গতকাল বৃহস্পতিবার আইনজীবী সমিতির নির্বাচন শেষে রাতে ঘোষিত ফলাফলে ২১ পদের মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১৬ পদে জয়লাভ করেছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। অন্য পাঁচটি পদে জিতেছেন আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা।
গতকাল আইনজীবী সমিতির ১ নম্বর নতুন বার ভবনের দোতলায় দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার বিরতি দিয়ে ভোট গ্রহণ সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয় বলে জানা যায়। নির্বাচনে ৬০২ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দেন ৫৫৫ জন।
এবার নির্বাচনে ২১টি পদের বিপরীতে দুটি প্যানেল থেকে ৪২ প্রার্থী অংশ নেন। প্যানেল দুটি হলো সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের (আওয়ামী লীগপন্থী) ব্যানারে আবু বাকার-বজলে তৌহিদ আল হাসান বাবলা প্যানেল এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের (বিএনপিপন্থী) মোজাম্মেল হক-পারভেজ তৌফিক জাহেদী প্যানেল।
নির্বাচন কমিশনার হিসেবে অ্যাডভোকেট শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম সেলিম দায়িত্ব পালন করেন। নির্বাচন কমিশনের অপর দুই সদস্য হলেন অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম ও অ্যাডভোকেট শামীম হায়দার দারা।
গতকাল রাতে ঘোষিত ফলাফলে সভাপতি পদে বিএনপিপন্থী প্যানেলের মোজাম্মেল হক ২৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী আবু বাকার পেয়েছেন ২৬৭ ভোট। সহসভাপতি পদে বিএনপির এ কে এম মিজানুর রহমান ৩০৫ ভোট, আওয়ামী লীগের অসিত কুমার সান্ন্যাল ২৬৯ ভোট ও বিএনপির মো. মাহবুবুল ইসলাম ২৭৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
এ ছাড়া সহসভাপতি পদে অন্য তিনজনের মধ্যে আওয়ামী লীগের মো. আজিজুল হক ২৪৪ ভোট, বিএনপি জোটের আবু মোহাম্মদ সেলিম ২৬৪ ও আওয়ামী লীগ জোটের মো. এন্তাজুল হক বাবু পেয়েছেন ২৪৮ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে বিএনপির পারভেজ তৌফিক জাহেদী ৩০৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বজলে তৌহিদ আল হাসান বাবলা পেয়েছেন ২৩১ ভোট। যুগ্ম সম্পাদক সম্পাদক (সাধারণ) পদে বিএনপির মুহা. আতিকুর রহমান ইতি ২৯০ ভোট বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মো. শফিকুল ইসলাম বাবুল পেয়েছেন ২৪৭ ভোট।
যুগ্ম সম্পাদক (কল্যাণ তহবিল) পদে আওয়ামী লীগের মো. সাজেমান আলী ২৮৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মো. আবদুল মালেক রানা পেয়েছেন ২৫৪ ভোট। হিসাব সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপির মো. সেলিম রেজা মাসুম। তিনি পেয়েছেন ২৮০ ভোট। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের মো. তৌফিকুর রহমান পেয়েছেন ২৫১ ভোট।
লাইব্রেরি সম্পাদক পদে বিজয়ী বিএনপির মো. রিয়াজ উদ্দিন পেয়েছেন ২৯৯ ভোট। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মো. মনিরুজ্জামান মনির পেয়েছেন ২৪৪ ভোট।
সম্পাদক অডিট পদে বিজয়ী বিএনপির মো. আজিমুশসান উজ্জ্বল পেয়েছেন ২৬৬ ভোট। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের মো. শহীদুল্লাহ্ সরকার পেয়েছেন ২৫৮ ভোট।
সম্পাদক প্রেস অ্যান্ড ইনফরমেশন পদে বিজয়ী আওয়ামী লীগের মো. হাসিবুল ইসলাম কচি পেয়েছেন ২৭৭ ভোট। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মো. এজাজুল হক এজাজ পেয়েছেন ২৫২ ভোট।
সম্পাদক ম্যাগাজিন অ্যান্ড কালচার পদে বিএনপির মো. রজব আলী ২৮৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের মমতাজ খানম পেয়েছেন ২৫৯ ভোট।
নির্বাহী সদস্যপদে ৯ বিজয়ীর মধ্যে বিএনপির মো. আব্দুল বারী পেয়েছেন ৩০৫ ভোট, একই দলের মো. আফতাবুর রহমান ২৯২ ভোট, মো. ইরশাদ আলী ঈশা ২৯১ ভোট, সিফাত জেরিন ২৮৬ ভোট ও মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব ২৮০ ভোট পেয়েছেন।
আওয়ামী লীগের মো. আহসান হাবীব রঞ্জু পেয়েছেন ২৭৯ ভোট, বিএনপির মো. মোজাম্মেল হক-৩ পেয়েছেন ২৭৪ ভোট, আওয়ামী লীগের সুমা খাতুন পেয়েছেন ২৭৪ ভোট এবং আওয়ামী লীগের সেকেন্দার আলী পেয়েছেন ২৭২ ভোট।