রাজশাহী জেলা জজ আদালতে কর্মরত পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবুল কালাম (৩৫) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ বুধবার দুপুর ১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তিনি মারা যান।

হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, এএসআই আবুল কালামের মৃত্যুর বিষয়টি রাজশাহীর পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহকে অবহিত করা হয়েছে।

রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়ের আলম জানান, এএসআই আবুল কালাম জেলা জজ আদালতে কর্মরত ছিলেন। করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ায় গত ২২ জুন তার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে তার শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এরপর বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে রেখে তার চিকিৎসা চলছিল। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ২৫ জুন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়েছিল। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেলেন।

এএসআই আবুল কালামের গ্রামের বাড়ি বগুড়ার শেরপুর উপজেলায়। তিনি স্ত্রীকে নিয়ে রাজশাহী মহানগরীর তেরোখাদিয়া এলাকায় ভাড়া থাকতেন। তার ছয় বছর এবং ছয় মাসের দুই সন্তান রয়েছে।

তার মৃত্যুতে পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এ কে এম হাফিজ আক্তার ও জেলা পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তারা শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তারা এএসআই আবুল কালামের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেছেন।

এদিকে অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মীর শওকত আলী (৬৩) করোনার উপসর্গ নিয়ে আজ বুধবার দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। তার বাড়ি রাজশাহী মহানগরীর হোসনীগঞ্জ এলাকায়।

ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বুধবার সকাল ১০টার দিকে মীর শওকত আলীকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। এরপর তাকে করোনার সন্দেহভাজন রোগীদের জন্য নির্ধারিত ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে রাখা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে তিনি মারা যান।

মৃত্যুর পর তার মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে জানিয়ে ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কি না- তা নমুনা পরীক্ষার পরই বলা যাবে।