রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে মামলা

রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও সচিবসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
শিক্ষাবোর্ডের বিভিন্ন কাজ না করেই সরকারি প্রায় ১৮ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ ও সাবেক সচিব ড. আনারুল হক প্রামানিকসহ ১৪ কর্মকর্তা-কর্মচারি ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মামলাগুলো করা হয়েছে।
আজ বুধবার দুদকের সমন্বিত রাজশাহী জেলা কার্যালয়ে মামলাগুলো করা হয়। তিনটি মামলারই বাদী ওই কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আল-আমিন। দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এসব মামলা করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
মামলার অন্য আসামি হলেন শিক্ষা বোর্ডের উপসচিব (ভাণ্ডার) সেলিনা পারভীন (৫৩), নেসার উদ্দিন আহম্মেদ (৫২), উপবিদ্যালয় পরিদর্শক মানিক চন্দ্র সেন (৪৮), সহকারী প্রোগ্রামার ফরমান আলী (৪৬), নিরাপত্তা কর্মকর্তা গোলাম ছরওয়ার (৫১), সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জহিরুল হক (৫১), ঈমাম আবুল হাশেম মো. রহমতুল্লাহ (৪৫), ডাটা এন্ট্রি-কন্ট্রোল অপারেটর আজহার আলী (৩৬) ঠিকাদার শওকত আলী (৫৪), ইসরাফিল হোসেন (৩৩), রওশন রেজভী আলম (৪৩) ও রিপন রায় কুশ (৩৫)।
মামলা তিনটির একটিতে আট লাখ ৯১ হাজার ২৭৪ টাকা, আরো একটিতে তিন লাখ ৯৬ হাজার ৪২৫ টাকা এবং অপরটিতে পাঁচ লাখ ৫৭ হাজার ১৩২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। মোট টাকার পরিমাণ ১৮ লাখ ৪৪ হাজার ৮৩১।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা একে অপরের যোগ সাজসে ২০১৫-১৬ থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বিভিন্ন কাজ না করেই বাস্তবায়ন দেখিয়ে টাকা আত্মসাত করেছেন।
মামলার বিষয়ে কথা বলতে সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ও সাবেক সচিব আনারুল হক প্রামাণিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে মামলা তিনটির আসামি বোর্ডের বর্তমান উপবিদ্যালয় পরিদর্শক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র সেনের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, ‘মামলার বিষয়ে আমি জানি না।’ তবে অভিযোগগুলোর ব্যাপারে মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার এখন মাথা ঠিক নাই। এ বিষয়ে পরে কথা বলব।’