কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল। আজ রোববার (৮ জানুয়ারি) প্রতিনিধি দলটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প  পরিদর্শন করে। তাঁরা সাড়ে নয় ঘণ্টা কক্সবাজার অবস্থানকালে পাঁচ ঘণ্টারও অধিক সময় ছিলেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। তবে, গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেনি কেউ। 

কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ সামছুদ্দৌজা নয়ন ক্যাম্প পরিদর্শনের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রতিনিধিদলে ছিলেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়ার সিনিয়র পরিচালক আইলিন লাউবাচার, বাংলাদেশের মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন হেলেন লাফেভ, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক ব্রায়ান লুটি, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, বাংলাদেশের জন্য নিযুক্ত স্টেট ডিপার্টমেন্টের ফরেন সার্ভিস কর্মকর্তা স্কট আরবম, আঞ্চলিক উদ্বাস্তু সমন্বয়কারী ম্যাকেঞ্জি রো, ইউএসএআইডি বিএইচএ বাংলাদেশের উপপরিচালক কেনেথ হাসন, সহকারী আঞ্চলিক নিরাপত্তা কর্মকর্তা নাথালি হান, উদ্বাস্তু সহকারী ইসতিয়াক আহমেদ, ফরেন সার্ভিস ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেটর শেখ শিবলী ও অডিও-ভিডিও টেকনিশিয়ান পাবলিক অ্যাফেয়ার্স রবার্ট রেবেইরো।

মোহাম্মদ সামছুদ্দৌজা নয়ন জানান, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদলটি আজ সকাল সাড়ে ৮টার পর পরই কক্সবাজার বিমান বন্দরে পৌঁছায়। সন্ধ্যা ৬টায় বিমানযোগে প্রতিনিধিদলটি কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়।

নয়ন আরও জানান, প্রতিনিধিদলটি উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছে। প্রতিনিধিদলটির সদস্যরা ক্যাম্পে বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থার বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শনের পাশাপাশি রোহিঙ্গা নারী-পুরুষদের সঙ্গে আলাপ করেন। পরে আজ বিকেলে প্রতিনিধিদলটির সদস্যরা কক্সবাজার পৌঁছে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ে কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। সেখানে আলোচনা শেষে প্রতিনিধিদলটির সদস্যরা বিমানযোগে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।

কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের এই অতিরিক্ত কমিশনার জানান, প্রতিনিধিদলটি বিমানবন্দর থেকে সকাল ১০ টার পর প্রথমে উখিয়ার কুতুপালংয়ে ১২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্রে পৌঁছে। সেখানে পরিদর্শন শেষে ১৮ নম্বর ক্যাম্পে অবস্থিত রোহিঙ্গা সাংস্কৃতিক স্মৃতিকেন্দ্রে যায়। ওই ক্যাম্পে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ করে। পরে শিক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন করে ১৭ নম্বর ক্যাম্পের ই-ভাউচার আউটলেট পরিদর্শন করে। 

উখিয়া থেকে প্রতিনিধিদলটির সদস্যরা বিকেল সাড়ে ৪টায় এসে পৌঁছান কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ে। এখানে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তাঁরা।