শাশুড়ির কান কেটে দিলেন মেয়ের জামাই
মেয়ে শান্তাকে যৌতুকের দাবিতে মারধর করেছেন আনোয়ার। এ কথা শুনে মা ফরিদা বেগম (৪০) আসেন রাজধানীর জুরাইনে মেয়ের জামাইয়ের বাসায়। ফরিদা জানতে চান, কেন তাঁর মেয়েকে মারধর করা হয়েছে। তারপর আনোয়ারের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে ধারালো ছুরি দিয়ে ফরিদাকে কোপ দেন আনোয়ার। আর এতেই তাঁর কান পুরোপুরি কেটে মাটিতে পড়ে যায়।
আজ সোমবার দুপুরের দিকে রাজধানীর জুরাইনের আলম মার্কেট এলাকার একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি রাতে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া।
বাচ্চু মিয়া বলেন, আনোয়ারের শাশুড়ি ফরিদা বেগমের কান পুরোপুরি কেটে পড়ে গেছে। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আজ বিকেল ৩টার দিকে তাঁকে নিয়ে হাসপাতালে আসা হয়।
ফরিদা বেগমের বরাত দিয়ে বাচ্চু মিয়া বলেন, দুই বছর আগে তাঁর মেয়ে শান্তাকে আনোয়ারের সঙ্গে বিয়ে দেন। তারা কিছুদিন ভালো থাকলেও এক বছর আগে থেকে যৌতুকের জন্য প্রায় সময় শান্তাকে মারধর করতেন আনোয়ার। সোমবার মারধরের সংবাদ পেয়ে ফরিদা বেগম নারায়ণগঞ্জ থেকে রাজধানীর জুরাইনের আলম মার্কেট এলাকায় মেয়ের বাড়িতে যান।
বাচ্চু মিয়া বলেন, পরে তাঁর মেয়ের জামাই আনোয়ারের কাছে জানতে চান মেয়েকে কেন মারধর করা হচ্ছে। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আনোয়ার ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর শাশুড়ির বাম কান কেটে দেন ও পেটের নিচে ছুরিকাঘাত করেন। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ফরিদার হাতের তালু ফেটে যায়।