শিক্ষককে মারধর, ভালুকা উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

এক কলেজ শিক্ষককে মারধর করার ঘটনায় ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদসহ ১১ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৮ নম্বর আমলী আদালতের বিচারক বিচারক মো. ইমাম হাসান মামলাটি আমলে নিয়ে ভালুকা থানা পুলিশকে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
ময়মনসিংহ মহিলা ডিগ্রি কলেজের খণ্ডকালীন প্রভাষক ও ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য মো. হুমায়ুন কবীর (৩০) বাদী হয়ে ওই মামলা করেন।
মামলার ১ নম্বর আসামি আবুল কালাম আজাদ এক সময় ভালুকা উপজেলা বিএনপির সদস্য ও হবিরবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে তিনি দল বদল করে আওয়ামী লীগের যোগ দেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপন ভগ্নিপতি কাজীমুদ্দিন আহম্মেদ ধনু আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর উপজেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি পদ পান উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ।
এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহজাহান কবীর সাজু। তিনি জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ভালুকা থানা পুলিশকে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মামলায় বাদী পাঁচজন আসামির নাম উল্লেখ এবং পাঁচ-ছয়জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলাটি করেন। আসামিরা হলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ (৪৫), ইমরান আলী (৩৩), নাজমুল (২৫), মানিক (২৮) ও আবির (২৫)।
মামলার আরজি সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক তালুকদারকে তুচ্ছ ঘটনায় লাঞ্ছিত করেন মামলার ১ নম্বর আসামি ভালুকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বীর মুক্তিযোদ্ধা নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট করেন। সরলমনা বাদী ওই পোস্টটি শেয়ার করেন। এতে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার সিডস্টোর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাদীকে পেয়ে ১ নম্বর আসামির নির্দেশে অন্য আসামিরা মারধর করেন। এতে বাদী ডান কানে মারাত্মক আঘাত পান ও রক্তাক্ত জখম হন।