শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের

স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে কওমি মাদ্রাসাসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। নইলে ঈদের পরে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
আজ রোববার বিকেলে বরিশাল নগরীর চাঁদমারীতে ইসলামী আন্দোলনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এই হুঁশিয়ারি দেন সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। চরমোনাই ভলান্টিয়ার সার্ভিস টিমের কার্যক্রম নিয়ে এই মতবিনিময় সভা করা হয়। এ সময় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বরিশাল মহানগর ও জেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা প্রসঙ্গে সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, করোনা আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষা। এজন্য যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মূর্খ বানানোর চক্রান্ত চলছে। এমন সিদ্ধান্তে দেশের জন্য কোনোভাবেই কল্যাণ বয়ে আনবে না। তিনি স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে কওমি মাদ্রাসাসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানান।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। করোনা মহামারির ফলে সাধারণ মানুষ চরম বিপর্যস্ত। দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। মানুষ অক্সিজেনের জন্য হাহাকার করছে। সরকারি হাসপাতালগুলো রোগীর চাহিদা পূরণে ব্যর্থ। করোনার দীর্ঘ দেড় বছরেও সরকার হাসপাতালে বেড, অক্সিজেনসহ করোনা রোগীর সরঞ্জাম বৃদ্ধি করতে পারেনি সরকার। তিনি দেশের সব মানুষকে দ্রুত সময়ের মধ্যে টিকার আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানান।
সরকারের সমালোচনা করে ফয়জুল করীম বলেন, সরকারের পরিকল্পনা দূরভিসন্ধিমূলক। তারা দেশের মাদ্রাসাগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। সেখানে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত-দোয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি কয়েকমাস ধরে নিরীহ আলেম-ওলামাদের গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু স্বাস্থ্যখাতে যেভাবে লুটপাট হচ্ছে সে ব্যাপারে সরকারের কোনো মাথাব্যথা নেই। দেশের স্বাস্থ্যখাত এই লুটপাটের কারণে পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। হাসপাতালে রোগীরা বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে, অথচ সরকার স্বাস্থ্যখাতের লুটেরা-দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এভাবে চলতে দেওয়া যায় না। আমরা ঈদ পর্যন্ত অপেক্ষা করব। এরমধ্যে যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে না দেয়, নিরাপরাধ আলেম-ওলামাদের মুক্তি না দেয় এবং স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাহলে দেশব্যাপী বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা সৈয়দ নাসির আহমেদ কাওছার, মাওলানা জাকারিয়া হামিদী, মাওলানা লুৎফর রহমান, আবদুল্লাহ আল মামুন টিটু প্রমুখ।