সন্ধ্যার পরে বরফশীতল কুড়িগ্রাম, বাড়ছে জনদুর্ভোগ
কুড়িগ্রামে চারদিন ধরে দিনের বেলা সূর্যের দেখা মিললেও সন্ধ্যা নামার আগেই নিম্নগামী হয়ে পড়ছে তাপমাত্রা। রাত যত গভীর হয় ততই বাড়তে থাকে কনকনে ঠান্ডার মাত্রা। জেলায় আজ বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জেলাজুড়ে তাপমাত্রা নিম্নগামী থাকায় চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে জনজীবনে। ব্যাহত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
এ অবস্থায় গরম কাপড়ের অভাবে শীতকষ্টে ভুগছে ছিন্নমূল মানুষ। জীবন-জীবিকার তাগিদে ঠান্ডা উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছে শ্রমজীবীরা। কনকনে ঠান্ডার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে কৃষি শ্রমিকসহ চরাঞ্চলের মানুষ।
জেলার রাজারহাট উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের কৃষক সুরুজ্জামান জানান, জমিতে বোরো চাষের সময় হয়েছে কিন্তু কনকনে ঠান্ডার কারণে মাঠে যেতে পারছি না। এ অবস্থা চলতে থাকলে বোরো আবাদ বিলম্বিত হয়ে পড়বে।
একই উপজেলার কৃষি শ্রমিক আবদার হোসেন জানান, রাতে কনকনে ঠান্ডায় খুব কষ্ট হয়। খুব বেশি গরম কাপড় নেই। এই ঠান্ডার কারণে সকালে যে কাজে বের হবেন সে উপায়ও থাকে না। তাই পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে আছেন।
কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক তুহিন জানান, চারদিন ধরে এ জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে। আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে জেলা প্রশাসন থেকে সরকারিভাবে জেলার নয় উপজেলায় দরিদ্র মানুষের জন্য ৩৮ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, আরও নতুন করে ২৫ হাজার কম্বল পাওয়া গেছে, যা দ্রুতই বিতরণ করা হবে।