সিলেটে ছাত্রদল-ছাত্রলীগ সংঘর্ষ, সাংবাদিককে মারধর
সিলেট নগরীর চৌহাট্টা ও আলিয়া মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এক সাংবাদিককে মারধর করা হয়েছে।
আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
পুলিশ জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তির প্রতিবাদে ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের শাস্তির দাবিতে আজ বিকেল ৪টার দিকে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগ মিছিল বের করে। নগরীর চৌহাট্টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে তারা মিছিলটি বের করে কোর্ট পয়েন্ট ঘুরে আবার চৌহাট্টায় ফিরে যায়। এ সময় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা ছাত্রদলের একটি মিছিল আলিয়া মাদ্রাসার সামনে থেকে বের হয়। এ সময় ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল মুখোমুখি হলে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষ চলাকালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও লন্ডনভিত্তিক ‘চ্যানেল এস‘-এর প্রধান প্রতিবেদক মইন উদ্দিন মনজুর ওপর হামলা চালায়। তারা তাকে লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। পরে তাকে অন্য সহকর্মীরা গিয়ে উদ্ধার করে নিয়ে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
খবর পেয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নাঈম আহমদ বলেন, মিছিল শেষে চৌহাট্টায় নেতাকর্মীরা দাঁড়িয়েছিল। এ সময় ছাত্রদল তাদের মিছিল থেকে সরকার ও আওয়ামী লীগবিরোধী স্লোগান ও গালিগালাজ করলে তাদের ধাওয়া দেওয়া হয়।
সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি আহসান বলেন, বিকেল ৪টার দিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা ছাত্রদল মিছিল বের করে। মিছিল শেষে আলিয়া মাদ্রাসার গেটের সামনে ফুটপাতে দাঁড়ানো অবস্থায় ছিলেন তারা। তখন পেছন দিক থেকে ছাত্রলীগের কায়েকজন নেতাকর্মী লাঠি নিয়ে হামলা চালায় এবং এক সাংবাদিককে মারধর করে।
হামলাকারীরা সাংবাদিক মঞ্জুর হাতের মোবাইল ফোন ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়।
তবে সাংবাদিকের উপর হামলার বিষয়ে উভয়পক্ষ অস্বীকার করেছে। কিন্তু উপস্থিত সাংবাদিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা সাংবাদিকের ওপর হামলার সঙ্গে ছাত্রলীগ জড়িত বলে জানিয়েছে।
আহত সাংবাদিককে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, ছাত্রলীগ তাদের কর্মসূচি শেষে ফেরার পথে আলিয়া মাদ্রাসা থেকে কে বা কারা তাদের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে উত্তেজনা শুরু হলে মাদ্রাসায় ঢুকে পড়া এক সাংবাদিককে মারধর করা হয়। তিনি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। মামলা হলে পুলিশ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।