সীতাকুণ্ডে বারোমাসী রূপবান শিম চাষে লাভবান কৃষক
শিম আমাদের দেশে শীতকালীন একটি প্রধান সবজি। অনেকে সবজি হিসেবে শিমকে খুব পছন্দ করে। সীতাকুণ্ড উপজেলা শিম উৎপাদনের দিক থেকে বেশ পরিচিত। এ অঞ্চলের উৎপাদিত শিম সরবরাহ করা হয় রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে।
শিম এক সময় শুধু শীতকালীন সবজি ছিল। বর্তমানে বারোমাসী রূপবান জাতের এই শিম সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন ইউনিয়নের মাঠে-ঘাটে রাস্তার দুই পাশে ও পাহাড়ি উঁচু জমিতে সারা বছর চাষ হচ্ছে। ইতোমধ্যে বারমাসী রূপবান শিম চাষ করে লাভবান হচ্ছেন অনেক কৃষক। এই শিম বাজারে বর্তমানে খুচরা মূল্য ১০০-১১০ টাকা কেজি। অধিক লাভের কারণে দিন দিন উপজেলার ব্যাপক এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে এই রূপবান শিম। সারা বছর এই শিমের চাহিদা থাকায় কৃষকরা ও এই শিম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, সীতাকুণ্ডের প্রায় দ্রই শতাধিক চাষি ১২০ হেক্টর জমিতে এই রূপবান শিম চাষ করেছেন। দেশের অন্য কোনো এলাকায় এই বারোমাসি শিম চাষ পরিলক্ষিত না হলেও ইতোমধ্যে সীতাকুণ্ডে প্রচুর পরিমাণে এই শিম চাষ হয়ে থাকে।
ডালিপাড়ার কৃষক আলাউদ্দিন জানান, এই রূপবান শিম লাগানো হয় বৈশাখ জ্যৈষ্ঠ মাসে, শ্রাবণ মাস থেকে ফলন শুরু হয়, এই শিমগাছে প্রচুর পরিমাণে কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। এরপরও উৎপাদনের প্রথম দুই থেকে তিন চালান বিক্রি করলে খরচ পুষিয়ে অনেক লাভ থাকে। এ ছাড়া এই শিম সারা বছর উৎপাদনের কারণে বাজার মূল্য অনেক বেশি বলে কৃষকরা লাভবান বেশি হয়। তাই এই রূপবান শিম চাষে কৃষকরা বেশি ঝুঁকছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রগুনাথ নাহা বলেন, শীত মৌসুমে শিম প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকা বিক্রি হলেও রূপবান শিম আগাম বা বারোমাস পাওয়া যাওয়ায় কৃষকরা দ্বিগুণ দামে বিক্রি করতে পারে। এতে কৃষক লাভবান হয়ে এই রূপবান শিম চাষে আকৃষ্ট হচ্ছে বেশি। আগামীতে পুরো দেশের সবজির ব্যাপক চাহিদা পূরণে আমরা সীতাকুণ্ডের ন্যায় সারা দেশে কৃষি বিভাগের মাধ্যমে এই বারোমাসি শিম চাষের জন্য কৃষকদের আগ্রহী করে তুলব।