স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে রাজাকারের তালিকা প্রকাশ : মন্ত্রী মোজাম্মেল

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আগামী ২৬ মার্চ সরকার রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, ‘তালিকা করে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত সব স্থান ও বধ্যভূমি সংরক্ষণ করা হবে।’
আজ বুধবার খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনির মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আরো বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা নিয়ে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। অনেকেই নকল গেজেট ছাপিয়ে অথবা বিভিন্ন স্থান থেকে তালিকাভুক্ত হয়ে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ভাতা সুবিধা নিচ্ছেন। তালিকা প্রণয়ন সম্পন্ন হলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বীরাঙ্গনাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বীরাঙ্গনাদের তালিকা করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। কিন্তু সামাজিক প্রতিবন্ধকতার কারণে পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে তালিকা তৈরির কাজ অব্যাহত আছে।’
তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য তিনি বীরাঙ্গনাদের প্রতি আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে এখনও পর্যন্ত শহীদের তালিকা করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করার পরই ৩০ লাখ শহীদের তালিকা প্রণয়ন করার কাজে হাত দেবে সরকার।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা-৬ আসনের (পাইকগাছা-কয়রা) সংসদ সদস্য মো. আখতারুজ্জামান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, পাইকগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু ।
উল্লেখ্য, কপিলমুনিতে ১৯৭১ সালের ৭ ও ৮ ডিসেম্বর একটানা যুদ্ধের পর ৯ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় ১৫৫ জন রাজাকার আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।