স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে দ্বন্দ্ব, প্রথম স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার চরপলিশা গ্রামে মনোয়ারা বেগম (২৫) নামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামী সোহাগ মিয়ার (৩৫) বিরুদ্ধে। আজ রোববার ভোরে গুরুতর আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় তাঁর। এ ঘটনার পর থেকেই সোহাগ মিয়া পলাতক রয়েছেন।
মনোয়ারা বেগমের বাবা বেলাল উদ্দিন বলেন, ‘সোহাগ কাউকে না জানিয়ে সম্প্রতি দ্বিতীয় বিয়ে করে নতুন স্ত্রীকে জমি লিখে দিয়ে সংসার শুরু করে। এ নিয়ে আমার মেয়ের সংসারে অশান্তি শুরু হয়। গতকাল শনিবার রাতে সোহাগের সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে লাঠি দিয়ে মারধরের পর মৃত্যু হয় আমার মেয়ে মনোয়ারার। এ ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য সোহাগ আমার মেয়ের মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে।’
অভিযুক্ত সোহাগের বড় ভাই সোহেল জানান, গতকাল দিবাগত রাত ২টার দিকে হট্টগোলের শব্দ শুনে সোহাগের ঘরে গিয়ে দেখেন, মনোয়ারা মুমূর্ষু অবস্থায় পড়ে আছে। পরে তাঁকে দ্রুত জামালপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে মমেক হাসপাতালে নেওয়ার পথে আজ ভোরে মৃত্যু হয় তাঁর।
এ ঘটনায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ফজলুল হক বলেন, ‘শুনেছি সোহাগের দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে তাঁদের মধ্যে বিরোধ চলছিল।’
মেলান্দহ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল মজিদ জানান, আজ দুপুরে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে এখনো থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। এ ঘটনার পর থেকেই সোহাগ পলাতক রয়েছেন।