টুঙ্গীপাড়ায় পুলিশের ওপর হামলা, রাতভর থানা পাহারায় সেনাবাহিনী
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/03/gopalgonj-news-army-3.jpg)
গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা। এতে টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে অস্থিরতা তৈরি হয়। এক পর্যায়ে পুলিশকে নিরাপত্তা দিতে মাঠে নামে সেনাবাহিনী। সাঁজোয়া যান নিয়ে রাতভর সেনাবাহিনীর সদস্যদের থানা ঘিরে রাখতে দেখা গেছে।
গতকাল রোববার (২ ফেব্রেুয়ারি) সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু সমাধির পাশে আওয়ামী সমর্থকরা লিফলেট বিতরণ করতে গেলে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়।
পুলিশসূত্রে জানা যায়, রোববার সন্ধ্যায় খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনের আওয়ামী লীগের সমর্থকরা লিফলেট বিতরণ করছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লিফলেট বিতরণ বন্ধ করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সমর্থকদের বাকবিতণ্ডা বাঁধে। এসময় পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে স্থানীয় মুদি দোকানদার সাফায়েত হোসেনকে আটক করা হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে পুলিশের গাড়ি আটকে ভাঙচুর ও কয়েকজন পুলিশ সদস্যের ওপর হামলা চালায় আওয়ামী সমর্থকরা।
হামলার খবর পেয়ে টুঙ্গীপাড়ার থানার ওসি খোরশেদ আলমসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে এলে তারাও তোপের মুখে পড়েন। পরে ঘটনাস্থলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মঈনুল হোসেন এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ ঘটনার পরই নিরাপত্তা দিতে বেশ কয়েকটি সাঁজোয়া যান নিয়ে টুঙ্গীপাড়া থানার সামনে রাত থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত অবস্থান করে সেনাবাহিনী। এছাড়া টুঙ্গিপাড়া থানা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।
টুঙ্গীপাড়ার ইউএনও মঈনুল হোসেন জানান, মসজিদে মাইকে ঘোষণা শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে ফেলে রাখা হয়েছ। এসময় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে তাদের উদ্ধার করা হয়। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
টুঙ্গীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোরশেদ আলম বলেন, থানার নিরাপত্তায় কারণে সাঁজোয়া যানসহ সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন। হামলায় আমিসহ বেশ কয়েকজনকে পুলিশ সদস্য আহত হই। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছ।