স্বাস্থ্য খাতে শিগগিরই পৌনে ৫ লাখ নিয়োগ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে একটি জনবল কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। এ জন্য শিগগিরই এ খাতে পৌনে পাঁচ লাখ কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে একটি প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। এটি অনুমোদন দিলে স্বাস্থ্যসেবার মান আরও উন্নত হবে।
আজ বুধবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের (ইউএইচএফপিও) প্রথম সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাহিদ মালেক এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনায় নাটকীয় পরিবর্তন হয়েছে। এই পরিবর্তন আমাদের ধরে রাখতে হবে। হাসপাতাল ব্যবস্থাপনার মান উন্নতি করতে হবে। হাসপাতাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।’
দেশে যাতে করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ না আসে, সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে আবার সংক্রমণ বাড়ছে। আমাদের দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ আবার আসুক, এটা আমরা কেউ চাই না। এ জন্য এখন থেকে সবাইকে সচেতন হতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’

করোনা প্রতিরোধী টিকা কার্যক্রম নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রতি মাসে তিন কোটি এবং তার থেকে বেশি ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এটা চলমান থাকলে ডিসেম্বরের মধ্যে ৫০ শতাংশ মানুষকে টিকা কর্মসূচির আওতায় আনা সম্ভব হবে।
উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের উদ্দেশ করে জাহিদ মালেক বলেন, ‘আপনাদের মাধ্যমে সরকারের অর্জন এবং সরকারের দুর্নাম হয়। আপনাদের মাধ্যমে উপজেলা পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি মানুষ স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করে। আপনাদের কাজের ওপর সরকারের ইমেজ নির্ভর করে। তাই গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে আপনাদের আরও সচেতন হতে হবে।’
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যসচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার খুরশীদ আলমসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম প্রমুখ।