হরিণের মাংসসহ বিকেলে একজন আটক, রাতে আসামি হয়ে গেলেন ‘সোর্স’

পূর্ব সুন্দরবনের জোংড়া এলাকায় খাল থেকে হরিণের মাংসসহ নৌকা জব্দ করেছে বন বিভাগ। এ সময় একজনকে আটকের খবর পাওয়া গেছে। প্রায় ১০ কেজি হরিণের মাংসসহ গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে দুটি নৌকা জব্দ করে জোংড়া ফরেস্ট ক্যাম্পের টহল দল। এ সময় হরিণ শিকার ও মাংস পাচারের সঙ্গে সম্পৃক্ততার দায়ে আটক করার খবর পাওয়া যায় মোংলার চিলা ইউনিয়নের সুন্দরতলা এলাকার বাসিন্দা সামাদ মোসাল্লীকে। এর সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ৯টায় জোংড়া ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হোসেন দাবি করেন, সামাদ মোসাল্লী তাঁদের ‘সোর্স’, আসামি নন।
তবে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আওতাধীন জোংড়া ফরেস্ট ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হরিণের মাংস, নৌকা জব্দের বিষয়টি রেঞ্জ কর্মকর্তা বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাউকে না জানিয়ে আটক সামাদ মোসাল্লীকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য গোপনে দেন-দরবারে ব্যস্ত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মাংস ও নৌকা জব্দ বা আসামি আটকের বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান রেঞ্জ কর্মকর্তা বা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা। বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত ঘটনাস্থলে রেঞ্জ কর্মকর্তাকে গিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন।
এ বিষয়ে জোংড়ার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হোসেন বলেন, পাচারের সময় সামাদ মোসাল্লী তাদের ওই হরিণের মাংস ধরিয়ে দেন। বর্তমানে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞার সময়ে চিলা ইউনিয়নের বাসিন্দা সামাদ মোসাল্লী সুন্দরবনের জোংড়া খালে কী করে পৌঁছালেন এবং সেখানে কী করতে ছিলেন তিনি— প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নের জবারে বন কর্মকর্তা আবুল হোসেন কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
এদিকে এ ঘটনা তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন।