মিতু হত্যায় বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ, ‘আরো আসামি আছে’

সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বাইরেও আসামি আছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান।
আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) গোয়েন্দা শাখায় বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর কামরুজ্জামান এ কথা জানান।
বৃহস্পতিবার (আজ) টানা আড়াই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর দুপুর পৌনে ২টায় গোয়েন্দা কার্যালয় থেকে বেরিয়ে আসেন মোশাররফ হোসেন। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন মিতুর বাবা ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ঘটনার সঙ্গে যেই জড়িত থাক, তাকেই আইনের আওতায় আনা হোক।
সিএমপির পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. কামরুজ্জামান রুদ্ধদ্বার কক্ষে মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে কথা বলেন।
এর আগে ১৫ ডিসেম্বর একই দপ্তরে বাবুল আক্তারকে চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
চলতি বছরের ৫ জুন চট্টগ্রামের ওআর নিজাম সড়কে নিজ বাসার কাছে দুর্বৃত্তের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনায় পরদিন বাবুল আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। পরে মামলাটি পাঁচলাইশ থানা থেকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় স্থানান্তরিত হয়।
মিতু হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে দুজন ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুজন মারা গেছেন।
জবানবন্দিতে দুজন জানান, মুসা শিকদার নামের এক ব্যক্তির নির্দেশে তাঁরা মিতুকে হত্যা করেছেন। পুলিশ জানায়, মুসাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে তাঁর স্ত্রী পান্নার দাবি, স্বামীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।