১২ প্রার্থীর কেউই কোনো ভোট পাননি যেখানে

পঞ্চগড়ে সাধারণ সদস্য পদে ১২ প্রার্থীর কেউই একটি ভোটও পাননি। আর চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে দুই সংখ্যার ভোট পাননি এমন প্রার্থীর সংখ্যা ১৪ জন। আর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে তিন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর, তিন সংরক্ষিত নারী সদস্য পদপ্রার্থী ও ২১ সাধারণ সদস্য পদপ্রার্থীর।
শূন্য ভোট পাওয়া ১২ সদস্য পদপ্রার্থী হলেন-১ নম্বর ওয়ার্ডে আজিমুল হক ২ নম্বর ওয়ার্ডে মো. তরিকুল ইসলাম ও মো. হায়দার ইমাম, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মো. ইসমাইল হোসেন, মো. নজরুল ইসলাম বেপারী, মো. ফারুক করিম ও মো. মোকাম্মেল হক, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে মো. রাসেদুজ্জামান প্রামাণিক, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে মো. ছয়ফুল আলম ও মো. সাইফুল ইসলাম, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে মো. আবু তাহের ও পরেশ চন্দ্র বর্মণ।
অন্যদিকে, যেসব প্রার্থী দুই অঙ্কের ভোট পাননি তাঁরা হলেন- চেয়ারম্যান পদে জাতীয় পার্টির (জেপি) কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল ইসলাম (মোটরসাইকেল, ছয় ভোট), জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আরিফুল ইসলাম পল্লব (কাপ পিরিচ, দুই ভোট) ও জাতীয় পার্টির (জেপি) বোদা উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক এ এইচ এম ফজলুল হক (মোবাইল ফোন, দুই ভোট), সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী মোছা. রাজিয়া খাতুন (তিন ভোট), সাধারণ সদস্য পদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী মু. আলাউদ্দীন (এক ভোট), আফতাবউদ্দীন (ছয় ভোট), মো. জামাল উদ্দীন (সাত ভোট), মো. মোশারফ হোসেন (এক ভোট), ২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী মো. আব্দুল্লাহ আল মামন (এক ভোট), ৩ নম্বর ওয়ার্ডে মো. খতিবর রহমান (এক ভোট), ৪ নম্বর ওয়ার্ডে এটিএম আখতারুজ্জামান বাবু (এক ভোট), ৫ নম্বর ওয়ার্ডে মো. আব্দুল কুদ্দুস প্রমাণিক (এক ভোট) ও মো. শফিউল আলম প্রধান (৫ ভোট), ৬ নম্বর ওয়ার্ডে মো. কেরামত আলী সরকার (দুই ভোট), ১০ নম্বর ওয়ার্ডে মো. জুলফিকার আলী চৌধুরী (তিন ভোট), ১১ নম্বর ওয়ার্ডে নব কুমার বর্মণ (ছয় ভোট), ১২ নম্বর ওয়ার্ডে দেব নারায়ণ রায় (এক ভোট) ।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, চেয়ারম্যান পদে আটজন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১২ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৫৫ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দেওয়ান সারওয়ার জাহান জানান, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা মোট ভোটারের ৮ ভাগের এক ভাগ এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও সাধারণ সদস্যরা কেন্দ্র অনুযায়ী মোট ভোটারের ৮ ভাগের এক ভাগের কম ভোট পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।