ঢাকার অগ্নিকাণ্ডে তৎপর চট্টগ্রাম

ঢাকার গুলশানে ডিএনসিসির মার্কেটের ভয়াবহ আগুনের মতো চট্টগ্রামে যেন কোনো ঘটনা না ঘটে সে লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।
আজ বুধবার সকালে চট্টগ্রামের বৃহত্তম পাইকারি বাজার রিয়াজউদ্দিন বাজারসহ কয়েকটি বিপণিবিতানে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখতে পান, তামাকুমণ্ডি লেইনের শতাধিক দোকানে চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত চওড়া রাস্তা নেই।
ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক কামাল হোসেন জানান, পানির উৎস ছাড়াই যেখানে সেখানে ভবন নির্মাণ করে ব্যবসা চলছে। কয়েক হাজার ব্যবসায়ীর মধ্যে এক শতাংশেরও অগ্নিনির্বাপণের বিষয়ে ছাড়পত্র নেই।
ফলে অগ্নিকাণ্ডসহ যে কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে এসব বিপণিবিতানে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তামিলুর রহমান জানান, প্রতিটি বিপণিবিতানের অবস্থাই অত্যন্ত ঘিঞ্জি। দাহ্য পদার্থের পরিমাণ এত বেশি যে, কোনোভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে মানুষকে উদ্ধার কিংবা আগুন নেভানো অনেকটা অসম্ভব হয়ে যাবে।
এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলাকালে বণিক সমিতির নানা ভাবে অসহযোগিতা করেছে বলেও জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি বলেন, আজ প্রাথমিকভাবে এসব বিপণিবিতানের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়ছে। তামাকুমণ্ডি লেইনে বণিক সমিতির অধীনে ১১৭টি মার্কেটে পাঁচ হাজার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আছে। এখানে রাস্তাগুলো খুব সরু, বিদ্যুতের তারগুলোও খুব ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। পানির উৎসের কোনো ব্যবস্থাও নেই। ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র নেওয়ার কথা থাকলেও বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানেরই তা নেই। বণিক সমিতির নেতাদের জন্য অনেক সময় অপেক্ষা করার পরও তাঁদের দেখা যাওয়া যায়নি বলে জানান তামিলুর রহমান। এভাবে অসহযোগিতা করলে এদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।