সাক্ষ্য না দেওয়ায় চিকিৎসকের জরিমানা, অনাদায়ে কারাদণ্ড

ঝিনাইদহের একটি আদালত হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ায় সদর হাসপাতালের সাবেক চিকিৎসক মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে ২৫০ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে পাঁচ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসেন এ আদেশ দেন।
আদালতের আদেশের অনুলিপি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ও ঝিনাইদহের সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায় , ২০০৭ সালের ২৬ অক্টোবর ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী গ্রামে স্বামী মিজানুর রহমানের বাড়িতে খুন হন রেকসনা। যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে হত্যা করা হয় তাকে। এ খুনের ঘটনায় নিহতের ভাই মো. আলাউদ্দিন বাদী হয়ে একই বছরের ১৯ নভেম্বর ঝিনাইদহ সিনিয়র নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। খুনের ঘটনার একদিন পর অর্থাৎ ২৭ অক্টোবর নিহত রেকসনার ময়নাতদন্ত করেন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তৎকালীন মেডিকেল অফিসার ডা. মোস্তাফিজুর রহমান। আদালতে বিচার শুরু হলে সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। আদালত সূত্রমতে, সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য এ পর্যন্ত ৭৪ বার তারিখ পরির্বতন করা হয়েছে। আদালত সবশেষ ২০১৬ সালের ৮ আগস্ট সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ওই চিকিৎসক বরাবর সমন পাঠান। এর আগে তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে আদালতে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ দেন আদালত। অথচ ওই চিকিৎসক আদেশ অমান্য করেন এবং আদালতে উপস্থিত হননি। এতে মামলাটি নিষ্পত্তিতে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তাঁর আদেশে বলেছেন, ওই মামলার সাক্ষী ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৮৫ এ (১) ধারায় দোষী। সে কারণে তাকে ২৫০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে পাঁচ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হলো।
আদালত জানান, বিকেলের দিকে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়। দণ্ডিত ব্যক্তি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত আছেন।