রায়ের পর ‘বিচলিত’ নূর হোসেন-তারেক সাঈদ
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2017/01/16/photo-1484549384.jpg)
সাত খুনের দুই মামলায় আজ সোমবার সকালে আদালতে হাজির করার সময় প্রধান আসামি নূর হোসেন ও তারেক সাঈদ বেশ হাসিখুশি ছিলেন।
এজলাসেও এ দুই আসামিকে বেশ নির্ভার দেখা যায়। তবে সকাল সোয়া ১০টার দিকে ফাঁসির রায় ঘোষণার পর নূর হোসেন ও তারেক সাঈদকে বেশ বিচলিত দেখা যায়। এ ছাড়া এজলাসের সামনে লোহার খাঁচায় অবস্থান করা ২৩ আসামির মধ্যে তিনজন রায় শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকেই আদালতে প্রবেশ করেন বিচারক। তবে তিনি এজলাসে আসেন সকাল ১০টার দিকে। এর পরপরই রায় পড়া শুরু হয়। মাত্র ১৫ মিনিটেই রায় পড়া শেষ করেন বিচারক।
রায়ে মামলার মোট ৩৫ আসামির মধ্যে নূর হোসেন, তারেক সাঈদসহ মোট ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া নয় বছরের সশ্রম কারাদণ্ড পান বাকি নয় আসামি।
এর আগে সকাল সোয়া ৯টা থেকে পৌনে ১০টার মধ্যে আদালতে নেওয়া হয় মামলার ২৩ আসামিকে। এজলাসের সামনে একটি লোহার খাঁচায় রাখা হয় ২০ আসামিকে। শুধু সামরিক বাহিনীর বরখাস্ত হওয়া তিন কর্মকর্তাকে এজলাসের সামনে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়।
রায় পড়ার পুরো সময় নূর হোসেন ও তারেক সাঈদকে হাসিখুশি দেখা যায়। তবে রায় ঘোষণার পরপরই কিছুটা বিচলিত দেখা যায় তাঁদের।
রায় ঘোষণার সময় দুই পক্ষের আইনজীবী ও গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ ছিল আদালত। এ ছাড়া গোটা আদালত চত্বরে ছিল কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিয়োজিত ছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।