‘হরতালে ক্লাস হবে রাস্তায়, শিক্ষা হবে সুন্দরবন নিয়ে’
তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ বলেছেন, অন্য হরতাল হয় ধংসের জন্য, কিন্তু আমাদের হরতাল হবে সম্পদ রক্ষার জন্য। জ্বালাও-পোড়াও নয়, এটা স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রামপাল প্রকল্পসহ সুন্দরবন বিনাসী প্রকল্পের বিরুদ্ধে ২৬ জানুয়ারি হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে আন মুহাম্মদ এ কথা বলেন। তিনি বলেন, অন্য হরতাল হয় ক্ষমতা দখলের জন্য, জ্বালাও-পোড়াও করার জন্য। কিন্তু আমাদের হরতাল হচ্ছে স্বতঃস্ফূর্ত অংগ্রহণে।
জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব বলেন, ‘সাত বছর ধরে সুন্দরবন বিনাশী প্রকল্পের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করে আসছি। সভা-সমাবেশ হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের আলোচনা ও দলিলপত্র হয়েছে। সেগুলো আমরা সরকারকে দিয়েছি। একাধিক লং মার্চ হয়েছে, আন্তর্জাতিক প্রতিবাদ দিবস হয়েছে এবং জনমত জরিপ হয়েছে।’
‘সমস্ত কিছুর পরও সরকার যখন অযৌক্তিক অবস্থায় রয়েছে, তখন বাধ্য হয়ে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য এই কর্মসূচি দিয়েছি। সবাই যাতে কোনো না কোনো ভাবে ভূমিকা পালন করতে পারেন। এ হরতালে সকল মানুষের অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশ রক্ষা হতে পারে।’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘এই হরতালে আপনাদের ক্লাস রুম হবে রাস্তায়। আর শিক্ষা হবে সুন্দরবন নিয়ে। আর লেখক ও বুদ্ধিজীবীদের সৃজনশীলতার প্রমাণ হবে রাস্তায়। শ্রমজীবী মানুষরাও সেদিন কয়েক ঘণ্টার কর্মবিরতি করে আন্দোলনে শক্তি বাড়াবেন।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স, গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সমন্বয়ক সাইফুল হক।
সমাবেশ শেষে আনু মুহাম্মদের নেতৃত্বে হরতালের সমর্থনে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি প্রেসক্লাবের সামন থেকে শুরু হয়েছে পুরানা পল্টনে গিয়ে শেষ হয়।