বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে সংঘর্ষ : বাঁশখালীতে নিহত ব্যক্তির দাফন
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2017/02/02/photo-1486055830.jpg)
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের সমাবেশকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে নিহত মো. আলীর জানাজার নামাজ শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. আলী মারা যান। তাঁর বাড়ি উপজেলার গন্ডামারা পশ্চিম বরগুনার এলাকায়। নিহত আলীর তিন ভাই জামাল হোসেন, আবু সৈয়দ ও মো. ইউনুচ একই ঘটনায় আহত হয়ে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে নয়জন।
এদিকে, দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মো. আলী নিহতের পর নতুন করে গন্ডামারায় আবার উত্তেজনা চলছে এলাকায়। বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ।
মরহুমের জানাজায় উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মো. জহির, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল গফুর, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মৌলবী নুর হোসেন, গণ্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আরিফুল্লাহ অংশ নেন।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন জানান, নিহতের ঘটনায় এখনো থানায় কোনো মামলা হয়নি। পুলিশ সতর্ক অবস্থায় আছে। পরিস্থিতি পুরোপুরি তাঁদের নিয়ন্ত্রণে আছে।
এর আগে গতকাল দুপুরে বাঁশখালীর গণ্ডামারা এলাকায় এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে সুধী সমাবেশকে ঘিরে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রকল্প নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সামাদ লাভু, গণ্ডামারা বসতভিটা রক্ষা কমিটির সমম্বয়কারী লেয়াকত আলী উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলার গণ্ডামারা গ্রামে প্রায় ৬০০ একর জমির ওপর ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩০০ মেঘাওয়াট সম্পন্ন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এস এস পাওয়ার প্ল্যান্ট। চীনের অর্থায়নে নির্মাণ করা হচ্ছে কয়লাভিত্তিক এ বিদ্যুৎ প্রকল্প। গত বছরের ৪ এপ্রিল এ প্রকল্পের বিরোধিতা করে এলাকাবাসীর সমাবেশে হামলার ঘটনায় চারজন নিহত ও অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়।