সাংবাদিক হত্যায় মেয়রসহ দুজনকে আ.লীগ থেকে বহিষ্কার

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে সাংবাদিক আবদুল হাকিম শিমুলের হত্যা মামলার প্রধান আসামি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেয়র হালিমুল হক মীরুসহ দুজনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত অপর ব্যক্তি হলেন শিমুল হত্যা মামলার চার নম্বর আসামি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কে এম নাসির উদ্দিন।
আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির এক জরুরি সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠদের মতামতের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য হাসিবুর রহমান স্বপন জানান, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, হত্যার মতো অপরাধে জড়িত হয়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগ এনে মেয়র হালিমুল হক মীরু ও কে এম নাসির উদ্দিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
কে এম নাসির উদ্দিনকে গত শুক্রবার ভোরে উপজেলার ছয়আনি গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায, গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে শাহজাদপুর পৌরসভার মেয়র হালিমুল হক মীরুর ছোট ভাই হাসিবুল হক পিন্টু শাহজাদপুর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বিজয় মাহমুদকে মারধর করেন। পরে মেয়রের বাসা থেকে পুলিশ পিন্টুকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এদিকে, বিজয় মাহমুদকে মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে বিকেলে এলাকাবাসী মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি মেয়রের বাসার সামনে পৌঁছালে কতিপয় লোক মেয়রের বাসা লক্ষ্য করে ঢিল মারে। একপর্যায়ে মেয়র তাঁর ব্যক্তিগত শটগান থেকে গুলিবর্ষণ করেন। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, গুলি ও হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে দৈনিক সমকালের শাহজাদপুর প্রতিনিধি আবদুল হাকিম শিমুলসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।
গুরুতর আহত সাংবাদিক শিমুলকে প্রথমে শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরবর্তী সময়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় গতকাল দুপুরে বগুড়া থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে দুপুর ১টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড় এলাকায় শিমুল মারা যান।