সাংবাদিকের ‘খুনি’ মিরুর ফাঁসির দাবিতে ঝাড়ুমিছিল

দৈনিক সমকালের সাংবাদিক আবদুল হাকিম শিমুল হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ঝাড়ুমিছিল করেছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ স্থানীয় এলাকাবাসী।
আজ সোমবার বিকেলে ৪টায় শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বানে শাহজাদপুরের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের পাশাপাশি নারীরাও ঝাড়ু নিয়ে অংশগ্রহণ করে। মিছিলটি শাহজাদপুর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা চত্বরে এসে শেষ হয়।
এ সময় বক্তব্য দেন উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক আজাদ রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবদুর রহিম, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম শাহু প্রমুখ।
বক্তারা সাংবাদিক হত্যা মামলার প্রধান আসামি পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরুর ফাঁসির দাবি জানান।
গত বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক শিমুল। পরদিন ঢাকায় নেওয়ার পথে বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুর সড়কেই তিনি মারা যান। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ছবিতে দেখা যায়, মেয়র মিরু শটগান হাতে দাঁড়িয়ে আছেন। এদিকে পুলিশও প্রাথমিকভাবে দাবি করেছে, মেয়রের শটগানের গুলিতে সাংবাদিক শিমুল নিহত হয়ে থাকতে পারেন।
এ ঘটনার পর পরই মেয়র হালিমুল হক মিরু, তাঁর দুই ভাইসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন নিহত সাংবাদিকের স্ত্রী কামরুন নাহার। ঘটনার পর মেয়রের দুই ভাইসহ মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গতকাল রাতে রাজধানীর শ্যামলী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আলোচিত সাংবাদিক হত্যা মামলার প্রধান আসামি মিরুকে। রাতেই তাঁকে সিরাজগঞ্জ নিয়ে যাওয়া হয়। আজ সোমবার দুপুরে তাঁকে সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করে রিমান্ড চায় পুলিশ।
মেয়র ছাড়া এ মামলার অন্য আট আসামি হলেন—মেয়র মিরুর ছোট ভাই পাবনা জেলা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল হক মিন্টু, ছোট ভাই হাসিবুল হক পিন্টু, পৌর এলাকার ছয়আনি গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা কে এম নাসির উদ্দিন, বাড়াবিল গ্রামের আলমগীর হোসেন, নলুয়া গ্রামের আশরাফ ভূঁইয়া, নাজমুল খাঁ, শক্তিপুর গ্রামের জহির শেখ ও নলুয়া গ্রামের সাহেব আলী।
আজ রোববার তাঁদের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। আদালত ১৫ ফেব্রুয়ারি রিমান্ড আবেদনের শুনানির দিন রেখেছেন।