দুদকের মামলায় গণপূর্তমন্ত্রীর জামিন
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় জামিন পেয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. শাহীনুরের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান মোশাররফ।
আগামী ১২ মার্চ এ মামলায় পরবর্তী হাজিরার দিন নির্ধারণ করেন আদালত। একই সঙ্গে ওই হাজির হওয়া থেকে মোশাররফকে অব্যাহিত দেওয়া হয়েছে।
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তানজীব-উল-আলম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু।
এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানজীব-উল-আলম জানান, ২০০৭ সালের ১/১১-এর সময় খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ অনেক জাতীয় নেতাকে হয়রানির জন্য মামলা হয়েছে। সেই মামলা পরবর্তী সময়ে হাইকোর্ট থেকে খারিজ করা হয়। দুদকে আপিলের কারণে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত হয়। আজ এ মামলায় মোশাররফ জামিন পেয়েছেন।
আইনজীবী আরো জানান, মোশাররফ রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করেন। তাই পরবর্তী শুনানিতে উপস্থিতি থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন। আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।
এ বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ১/১১-এর সময়ে সামরিক শাসকরা সবার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এই মামলা হাইকোর্টে নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। কিন্তু প্রধান বিচারপতি আবার মামলা পুনরুজ্জীবিত করার পর আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি নিম্ন আদালতে জামিন নিয়েছেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের একটি বাণিজ্য এলাকায় পার্কিং স্পেস লিজ দেওয়ার অভিযোগে ২০০৭ সালের ২২ নভেম্বর মোশাররফের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ২০০৮ সালের ৯ জানুয়ারি তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৮ জুলাই তিনি জামিন পান। এর দুদিন পর ২০০৮ সালের ৩০ জুলাই এ মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। এর পর দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০১২ সালের ২০ নভেম্বর হাইকোর্ট বিভাগ মামলা খারিজ করেন। এর বিরুদ্ধে দুদক আপিল করে ২০১৬ সালের ৮ মে।
এ মামলায় আরো দুই আসামি ছিলেন। তাঁরা হলেন সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আলহাজ রফিকুল আনোয়ার ও তাঁর ছোট ভাই আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল আনোয়ার। রফিকুল আনোয়ার প্রয়াত হওয়ায় মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। ফখরুল আনোয়ার আজ জামিন পেয়েছেন।