খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার আমিরপুর ইউনিয়নের কোড়িয়া গ্রামে মাছের ঘের দখল নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম  হত্যাকাণ্ডের দুদিন পর জেলা ছাত্রলীগের ২২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে নিহতের ভাই সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় জেলা ছাত্রলীগ নেতা শেখ রাসেলসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এদিকে, এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেলে জেলা বিএনপির  উদ্যোগে কে ডি ঘোষ রোডে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট গাজী আবদুল বারীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন আমীর এজাজ খান, ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান খান আলী মুনসুর, মোল্লা মফিজুর রহমান। বক্তারা যুবদল নেতা নজরুল ইসলামের হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে খুলনা থেকে ২০-২২টি মোটরবাইকে করে ছাত্রলীগের অর্ধশত নেতাকর্মী আমিরপুর ইউনিয়নের কোড়িয়া গ্রামের আতালের চরে একটি মাছের ঘের দখল করতে যায়। এ সময় স্থানীয় গ্রামবাসী তাদের বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে গুলিতে কোড়িয়া গ্রামের নজরুল ও একই গ্রামের নিজাম গুরুতর আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নজরুলকে মৃত ঘোষণা করেন।