চিকিৎসা না দিয়ে রোগী ‘রেফার্ড’ করায় চিকিৎসককে লাঞ্ছিত!
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2017/02/12/photo-1486908876.jpg)
প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না দিয়ে রোগীকে অন্য হাসপাতালে নিতে বলার (রেফার্ড) অভিযোগে এক চিকিৎসক ও কর্মীদের লাঞ্ছিত করেছেন ক্ষুব্ধ লোকজন। আজ রোববার সকালে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে সকাল পৌনে ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ধর্মঘট পালন করেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকরা সেবা প্রদানে বিরত থাকায় হাসপাতালে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। আর এই ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য মজিদ মণ্ডল ও সিভিল সার্জন ঘটনাস্থলে পৌঁছে উপযুক্ত বিচারের আশ্বাস দিলে চিকিৎসক ও কর্মীরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন।
বেলকুচির ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের কোনাবাড়ি গ্রামের আবদুর রাজ্জাক জানান, রোববার সকালে তাঁর ছেলে হাসান মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হন। বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. সাখাওয়াত হোসেন প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না দিয়েই তাঁর ছেলেকে সদর হাসপাতালে নিতে বলেন। এতে স্থানীয় লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে দায়িত্বরত চিকিৎসক ও কর্মীদের লাঞ্ছিত করেন। এই ঘটনায় নিজেদের দোষ ঢাকতে চিকিৎসকরা উদ্দেশ্যমূলক কর্মবিরতি পালন করেন।
চিকিৎসক ডা. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘রোগীটির অবস্থায় গুরুতর থাকায় তাঁকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয়েছিল। রোগীর স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে আমাকে লাঞ্ছিত করে।’
আর এই ঘটনায় সমঝোতা সভায় উপস্থিত ছিলেন বেলকুচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আকন্দ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম ইউসুফজী খানসহ অন্যান্য সরকারদলীয় নেতা ও হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফরা ।
সিরাজগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. শেখ মনজুর রহমান বলেন, ‘আমি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মজিদ মণ্ডল দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসে উপযুক্ত বিচারের আশ্বাস দিলে তারা পুনরায় কাজ শুরু করেন। এই ঘটনায় দায়িত্বরত চিকিৎসক এবং স্টাফদের দায়িত্ব অবহেলা ছিল কি না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’