নওগাঁর সীমান্তে বাংলাদেশির লাশ উদ্ধার

নওগাঁর সাপাহার উপজেলার কলমুডাঙ্গা সীমান্ত এলাকায় এক বাংলাদেশি নাগরিকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এ লাশ উদ্ধার করে। স্থানীয়রা এ হত্যাকাণ্ডের জন্য ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে (বিএসএফ) দায়ী করেছেন। কিন্তু বিজিবি এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বিএসএফের জড়িত থাকার কথা নাকচ করেছে। এ নিয়ে সীমান্ত এলাকায় সকালে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
নিহত ওই ব্যক্তির নাম শহিদুল ইসলাম (২৫)। তাঁর বাড়ি নওগাঁর সাপাহার উপজেলার কলমুডাঙ্গা গ্রামে। বিজিবির দাবি, তিনি গরু ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিযোগ করেন, গতকাল বুধবার রাতে শহিদুল ইসলাম ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে বিএসএফ তাঁকে আটক করে গলা কেটে হত্যা করে লাশ বাংলাদেশি ভূখণ্ডে ফেলে যায়।
নওগাঁর ১৪ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আনোয়ার হোসেন জানান, ভারতীয় সীমান্ত সংলগ্ন দক্ষিণ কলুমডাঙ্গা ২৩৮ নং মেইন পিলারের এক হাজার ২০০ গজ অভ্যন্তরে আজ সকাল ৬টার দিকে শহীদুলের লাশ পাওয়া যায়। কিন্তু এ ঘটনার সঙ্গে বিএসএফের জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সীমান্ত এলাকায় গরু ব্যবসায়ীদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তিনি।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আনোয়ার জানান, লাশের গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করার চিহ্ন আছে। এ ছাড়া শরীরের আর কোথাও আঘাতের চিহ্ন নেই। আর এ ধরনের একটি লাশ নিয়ে বাংলাদেশের ভেতরে বিএসএফের প্রবেশ করার কোনো সুযোগ নেই। তারপরও ভারতীয় ৩১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক টিএস নেগীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে এ ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে আজ সকালে ব্যাটালিয়ন উপ-অধিনায়ক পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়েছে।