আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আজকের হরতাল ভয়তালে পরিণত হয়েছে। তবে মনে রাখতে হবে ভয়তালকে জনগণ ভয় পায় না। জনগণ এই ভয়তালকে প্রত্যাখ্যান করেছে। হরতাল ডেকে যদি নেতারা বাসায় বসে হিন্দি সিরিয়াল দেখেন তাহলে তো এমন হবেই।’

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা ছাত্রলীগ ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজধানীতে আধাবেলা হরতালের ডাক দেয় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। বিএনপি ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা নামে বাম সংগঠনের একটি জোটও হরতালের সমর্থন দেয়।

ছাত্রলীগের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গডফাদার সুলভ আচরণ দিয়ে নেতাদের স্বার্থ রক্ষার পাহারাদার হওয়া যায়। কিন্তু নেতা হওয়া যায় না। আমরা গণধিকৃত গডফাদার চাই না, জনপ্রিয় লিডার চাই। রাজনীতিতে গডফাদারদের আগমন অস্বাভাবিক হয় কিন্তু পরিণতি করুণ। বিগত দিনের ইতিহাস দেখলে এমন তরুণতর বিষয় স্পষ্ট হয়।’

ছাত্রলীগকর্মীদের জন্য প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘‌আমি দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি সারা দেশের সব ইউনিটে ছাত্রলীগকর্মীদের পড়ুয়া করে গড়ে তুলতে, শিষ্টাচার, ভদ্র ও নম্রতা শেখানোর জন্য এর কোনো বিকল্প নেই। এটা করতে পারলে বিবেক উন্নত হবে। গডফাদারের রাজনীতি তাদের স্পর্শ করতে পারবে না।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘হরতাল এখন গণতন্ত্র রক্ষার হাতিয়ার নয়। গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় বিকল্প পন্থা ভাবতে হবে।’

পরিবহন ধর্মঘটের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, ‘আদালতের রায়ের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তাই এ রায়ে জনগণ কেন ভোগান্তিতে পড়বে? আপনারা আপনাদের অযৌক্তিক ধর্মঘট প্রত্যাহার করুন।’

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এম এম জাকির হোসেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি বায়জিদ আহমেদ খানের সভাপতিত্বে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের প্রাক্তন নেতাকর্মীরা বক্তব্য দেন।