রোহিঙ্গা শুমারি শুরু হচ্ছে

বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের তালিকা বা শুমারি করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আগামীকাল বুধবার থেকে রোহিঙ্গা শুমারির কাজ শুরু করবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন আগামী ১০ মার্চ পর্যন্ত এই শুমারি চলবে।
কক্সবাজার জেলার আট উপজেলার মধ্যে পাঁচটিতে শুমারির কাজ চলবে। উপজেলাগুলো হলো, টেকনাফ, উখিয়া, কক্সবাজার সদর, রামু ও চকরিয়া। এরইমধ্যে কক্সবাজার ব্যুরো কার্যালয় রোহিঙ্গাদের তথ্য জানতে মাঠ পর্যায়ে লোকজন নিয়োগ দিয়েছে।
কক্সবাজার জেলার পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্মকর্তা ওয়াহিদুর রহমান বলেন, ‘শুমারি শুরু করার জন্য গণনাকারীরা মাঠে অবস্থান করছেন। আগামীকাল বুধবার থেকে এসব উপজেলায় একযোগে রোহিঙ্গা শুমারি শুরু হবে। এ জন্য ৪০০ জন গণনাকারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি দলে একজন সুপারভাইজার ও একজন গণনাকারী হিসেবে ভাগ হয়ে গণনার কাজ করা হবে।’
এদিকে রোহিঙ্গা শুমারির প্রস্তুতি কার্যক্রম পরিদর্শন করতে গত শনিবার কক্সবাজার আসেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কে এম মোজাম্মেল হক। তিনি উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন।
২০১৫ সালের জুন মাসেও বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা জানতে শুমারি হয়েছিল। ওই শুমারির ফলাফল এখনো প্রকাশ করা হয়নি। কক্সবাজারের পরিসংখ্যান ব্যুরোর এক কর্মকর্তা জানান, মিয়ানমার থেকে নতুন করে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের তথ্য রয়েছে। মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও পেকুয়া উপজেলায় রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে এমন তথ্য পাওয়া যায়নি। তাই এই তিনটি উপজেলায় রোহিঙ্গা গণনা হচ্ছে না।
গত বছর ৯ অক্টোবর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের তিনটি পুলিশ ফাঁড়িতে সন্ত্রাসী হামলায় সেদেশের ৯ পুলিশ সহ ১৪ জন নিহত হয়। সন্ত্রাসী হামলার এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিয়ানমার বাহিনী বিদ্রোহী দমনের নামে রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন শুরু করে। তাদের নির্যাতনের মুখে অন্তত ৭০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় পালিয়ে আসে বলে একাধিক সংস্থা দাবি করে।