নৌমন্ত্রীর অপসারণ চেয়ে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি
পরিবহন ধর্মঘটে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের সম্পৃক্ততা রয়েছে দাবি করে তাঁর অপসারণ চেয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুর ১টার দিকে ডাকযোগে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি স্মারকলিপি পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
স্মারকলিপিতে ইউনুছ আলী কয়েকটি পত্রিকার সূত্র উল্লেখ করে বলেন, মন্ত্রীর বাসায় গণবিরোধী ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। রাষ্ট্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন মন্ত্রী হয়ে জনদুর্ভোগ হয় পরিবহন শ্রমিকদের এমন ধর্মঘটে তিনি সমর্থন দিতে পারেন না। এই ধর্মঘটে সম্পৃক্ততা থাকায় তিনি সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন এবং মন্ত্রী হিসেবে শপথ ভঙ্গ করেছেন।
ইউনুছ আলী আরো জানান, সংবিধানের ৭(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শাজাহান খান আর মন্ত্রী পদে থাকতে পারেন না। তাই বিষয়টি বিবেচনা করে ৫৬(২) অনুযায়ী মন্ত্রী শাহাজাহান খানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
সড়ক দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ, এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন নিহত হওয়ার মামলায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহনের বাসচালক জামির হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে গতকাল মঙ্গলবার থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেন তাঁরা।
ধর্মঘটে গতকাল রাতে গাবতলীতে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। আজ সকালেও সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে এক শ্রমিক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি পুলিশের পক্ষ থেকে।
২০১১ সালের ১৩ আগস্ট ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে মানিকগঞ্জের জোকা এলাকায় বিপরীতগামী যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় একটি মাইক্রোবাসের। এতে তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন নিহত হন। এ দুর্ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে।