টেকনাফে খেলতে গিয়ে শিশু অপহৃত, ১৪ দিন পর উদ্ধার

কক্সবাজারের টেকনাফে অপহরণের ১৪দিন পর এক শিশুকে উদ্ধারসহ দুই অপহরণকারীকে আটক করেছে র্যাব। গতকাল সোমবার রাত দেড়টার দিকে কক্সবাজার শহরের কলাতলী থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
ওই শিশুর নাম সাকিবুল হাসান (৭)। সে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের বড়ডেইল এলাকার যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আমির হোসেনের ছেলে।
আটক হওয়া দুজন হলেন টেকনাফের বাহারছড়া দক্ষিণ বড়ডেইল এলাকার আমীন (২২) ও কলাতলী ঝরঝরিপাড়ার মো. আলাউদ্দীন (৩০)।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় র্যাবের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানি কমান্ডার লে. আশেকুর রহমান এসব তথ্য জানান।
অপহৃত শিশুর মা আয়েশা বেগম জানান, গত ২১ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টার দিকে মাঠে খেলতে যাওয়ার পর নিখোঁজ হয় শিশু সাকিবুল হাসান। এরপর তিনদিন পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে অজ্ঞাত মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে সাকিবুলের মুক্তিপণ হিসেবে আড়াই লাখ টাকা দাবি করা হয়। মুক্তিপণ না দিলে শিশুটিকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। পরে সাকিবুলের পরিবার বিষয়টি উখিয়া থানার পুলিশকে অবহিত করে। এরপর র্যাবের কাছে অভিযোগ করেন সাকিবুলের মা। এর মধ্যে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ফের ফোন করে ৭০ হাজার টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা।
র্যাব কর্মকর্তা আশেকুর রহমান রহমান জানান, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শিশু সাকিবুলের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে শিশুটিকে উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে র্যাব। এরপর অপহরণকারীদের শনাক্ত ও তাদের অবস্থান জানার চেষ্টা করা হয়। একপর্যায়ে তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ফাঁদ পাতা হয়। এর অংশ হিসেবে অপহরণকারীদের দাবিমতো মুক্তিপণের টাকা নিয়ে সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় শিশুর মাকে কলাতলী পাঠানো হয়। র্যাব সদস্যরা তাঁকে অনুসরণ করতে থাকেন। রাত দেড়টার দিকে দুই অপহরণকারী মুক্তিপণের টাকা নিতে এলে সাদা পোশাকে থাকা র্যাব সদস্যরা তাদের হাতেনাতে আটক করেন। পরে তাদের নিয়ে অভিযান চালিয়ে কলাতলীর ঝরঝরিপাড়ার আস্তানা থেকে শিশু সাকিবকে উদ্ধার করা হয়।
আশেকুর রহমান রহমান বলেন, তাদের সঙ্গে লোকজন রয়েছে কি না সে ব্যাপারে অনুসন্ধান চলছে। আটক দুই অপহরণকারীকে থানায় সোপর্দ করে মামলা করা হবে বলেও তিনি জানান।