যৌথ অভিযানে পাহাড়ে জিম্মি ৩৯ নারী-পুরুষ ও শিশু উদ্ধার

বিদেশ পাঠানোর প্রলোভনে দিয়ে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার পাহাড়ে নিয়ে আটকে রাখা ৩৯ নারী-পুরুষ ও শিশুকে যৌথ অভিযানে উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড। আজ শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে নৌবাহিনী।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নৌবাহিনী জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার দিনগত গভীর রাতে পাহাড়ে মুক্তিপণের দাবিতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখার খবরে অভিযান চালানো হয়। বাহারছড়া ইউনিয়নের দুর্গম কচ্ছপিয়ায় পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথে প্রবেশ করে নৌবাহিনীর কমান্ডো দল ও কোস্ট গার্ড সদস্যরা। এ সময় অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে পাচারকারীরা পালানোর চেষ্টা করলে দুজনকে ধাওয়া করে আটক করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ সময় অন্ধকার পাহাড়ে ছড়িয়ে থাকা রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুরা আতঙ্কে লুকিয়ে ছিল। তখন অভিযান পরিচালনাকারীদের দেখে অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়ে। একে একে উদ্ধার করা হয় ১৮ রোহিঙ্গা নারী, ১১ পুরুষ, আট রোহিঙ্গা শিশু ও দুজন বাঙালি পুরুষকে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উদ্ধার হওয়া ভুক্তভোগীরা জানায়, পাচারকারীরা প্রথমে তাদের বিদেশে পাঠানোর আশ্বাস দেয়। পরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পাহাড়ে নিয়ে যায়। কারো কারো কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থও হাতিয়ে নেয় তারা।
নৌবাহিনীর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘মানবপাচারকারীরা দীর্ঘদিন ধরেই সীমান্ত এলাকায় সক্রিয়। এমন তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিযান পরিচালনা করা হয়। আমাদের লক্ষ্য, মানবপাচার ও মাদকসহ যেকোনো অপরাধমূলক কার্যক্রম সম্পূর্ণ নির্মূল করা।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উদ্ধার হওয়া সবাইকে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। আটক দুই পাচারকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
নৌবাহিনী সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানিয়েছে, ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত যৌথ অভিযানে মোট ১৩৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় মানবপাচার রোধে এ ধরনের অভিযান জোরদার করা হবে।