বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে তিন বছর সময় চেয়ে আবেদন

রাজধানীর হাতিরঝিলে অবস্থিত তৈরি পোশাক শিল্প প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) ভবন ভাঙতে তিন বছর সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছে।
আজ বুধবার আপিল বিভাগে এ আবেদন করা হয়েছে বলে এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন বিজিএমইএর আইনজীবী ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম।
মইনুল বলেন, এটি একটি বড় প্রতিষ্ঠান। বিপুলসংখ্যক মালামালসহ স্টেশনারি সরিয়ে নিতে সময় প্রয়োজন। এ জন্য তিন বছর সময় চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। আগামীকাল এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে গত ৫ মার্চ রাজধানীর হাতিরঝিলে পোশাক ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজিএমইএর বহুতল ভবন ভাঙার বিষয়ে করা পুনর্বিবেচনার আবেদন (রিভিউ) খারিজ করে দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এর ফলে ভবনটি ভাঙা ছাড়া আর কোনো পথ থাকল না।
এ ভবনটি কত দিনের মধ্যে ভেঙে সরিয়ে নিতে পারবে, সে বিষয়ে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষকে ৯ মার্চের মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়েছে। ওই দিন এ আবেদন নিষ্পত্তি করা হবে বলে জানিয়েছেন আদালত।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন বিচারপতির বেঞ্চ রিভিউ আবেদন খারিজ করেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।
গত বছরের ৮ ডিসেম্বর রিভিউ আবেদন দায়ের করে বিজিএমইএ। এর আগে গত বছরের ৮ নভেম্বর বিজিএমইএ ভবন ভাঙার বিষয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ পায়।
ওই রায়ে বলা হয়, অবিলম্বে ভাঙতেই হবে এই বহুতল অবৈধ ভবন। ভবন ভাঙার যাবতীয় খরচ বিজিএমইএকেই বহন করতে হবে। বিজিএমইএ না ভাঙলে রায়ের কপি পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে রাজউককে ভবনটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। এ জন্য যে অর্থ প্রয়োজন, তা বিজিএমইএর কাছ থেকে নিতে বলা হয়েছে। বিজিএমইএর লিভ টু আপিল খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায়ে এ নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।
হাইকোর্ট ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল ভূমির মালিকানা স্বত্ব না থাকা এবং ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ও জলাধার আইন ভঙ্গ করায় বিজিএমইএ ভবনকে অবৈধ ঘোষণা করেন।