পদ্মায় স্পিডবোট উল্টে জাজিরা বিএনপির সভাপতি নিখোঁজ

পদ্মায় স্পিডবোট উল্টে যাওয়ার ঘটনায় শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা বিএনপির সভাপতি শিকদার ইকবাল মাহমুদ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকে ইকবালের বাড়িতে চলছে শোক।
আশপাশের শত শত লোকজনসহ রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা ইকবালের বাড়িতে এসে ভিড় জমাচ্ছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে স্বজনরা ট্রলার নিয়ে মাওয়া ঘাট থেকে শুরু করে সুরেশ্বর পর্যন্ত পদ্মার বিভিন্ন স্থানে খুঁজে তাঁর কোনো সন্ধান পায়নি।
জাজিরা থানা, মঙ্গল মাঝিরঘাট ও ইকবালের স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা বিএনপির সভাপতি শিকদার ইকবাল মাহমুদ গতকাল বুধবার দুপুরে ঢাকা থেকে বাড়ি যাওয়ার জন্য রওনা হন। পরে তিনি পদ্মা নদী পার হওয়ার জন্য মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট থেকে আবদুল হালিমের স্পিডবোটে করে শরীয়তপুরের মাঝিরঘাটের উদ্দেশে রওনা দেন। পথে ঝড়ের কবলে পড়ে স্পিডবোট উল্টে ২০ জন যাত্রী নিয়ে পদ্মায় ডুবে যায়। এদের মধ্যে অনেক যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও জাজিরা উপজেলা বিএনপির সভাপতি শিকদার ইকবাল মাহমুদ ও দুই নারী নিখোঁজ থাকেন। দুর্ঘটনায় আহত লাবীব (১১) নামের এক শিশু গতকালই মারা যায়। আজ বেলা ১১টার দিকে লৌহজং টার্নিং পয়েন্ট থেকে বাকেলা (৪০) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ও কোস্টগার্ড।
শিকদার ইকবাল মাহমুদের নিখোঁজ সংবাদ পাওয়ার পর থেকে স্ত্রী পুতুল বেগম, মা রহিমাসহ বোনেরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাঁদের বাড়িতে চলছে শোক। আশপাশের শত শত লোকজন ও রাজনৈতিক নেতাকর্মী ইকবালের বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে স্বজনদের পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও এলাকার লোকজন অর্ধশতাধিক ট্রলার নিয়ে ইকবালের খোঁজে পদ্মা নদীর মাওয়া ঘাট থেকে শুরু করে ভাটিতে সুরেশ্বর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁকে কোথাও পাওয়া যায়নি।
ইকবাল মাহমুদ তিন সন্তানের জনক। বড় মেয়ে ইশাত, মেজো মেয়ে বেনজির ও চার মাস বয়সী ছেলেশিশু আলী ইনজাম।
ইকবাল মাহমুদের স্ত্রী পুতুল বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার তিন সন্তান কাকে বাবা ডাকবে। ছোট্ট শিশু আলী ইনজাম বাবাকে চেনার আগেই তার বাবা নিখোঁজ হয়ে গেলেন। আমি আমার স্বামীকে খুঁজে পেতে সবার সহযোগিতা চাইছি।’
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল বুধবার মাওয়ায় স্পিডবোট দুর্ঘটনায় জাজিরা উপজেলা বিএনপির সভাপতি নিখোঁজ রয়েছেন মর্মে আমি শুনেছি। এ ব্যাপারে আমাদের পক্ষ থেকে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’