নরসিংদীতে স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর হত্যা

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় সাবিনা আক্তার মিতু (১০) নামের এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ শনিবার উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের হাসনাবাদ গ্রাম থেকে নিখোঁজের দুদিন পর তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি শহরের মহিলা কলেজ এলাকায় আবীর নামে সাত বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার এক মাস পাঁচদিনের মাথায় শিশু মিতুকে একই কায়দায় হত্যা করা হলো।
নিহত সাবিনা আক্তার মিতু হাসনাবাদ পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত। সে একই এলাকার ইমান আলীর মেয়ে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবারের লোকজন জানায়, প্রতিদিনের মতো গত বৃহস্পতিবার মিতু স্কুলে যায়। কিন্তু সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেনি। এতে উদ্বিগ্ন স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান পাননি। পরদিন শুক্রবার এলাকায় মাইকিং করে তার নিখোঁজ সংবাদ প্রচার করা হয়। এরপরও কেউ মিতুর সন্ধান দিতে পারেনি।
আজ শনিবার দুপুরে হাসনাবাদ গ্রামে বাড়ির অদূরে একটি কলাগাছের ঝোপের ভেতর শিশুর লাশ দেখে এলাকার লোকজন। খবর পেয়ে মিতুর বাবা-মা ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে রায়পুরা থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহতের বাবা ইমান আলী বলেন, ‘আমার কোনো শত্রু থাকার কোনো কারণ নেই। কিন্তু কী কারণে কারা আমার মেয়েকে এমন নৃশংসভাবে হত্যা করেছে তা আমার জানা নেই।’ তিনি মেয়ের হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।
রায়পুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘নিহত স্কুলছাত্রীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে আমাদের ধারণা, পূর্বশত্রুতার জের ধরে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’