হরতাল ডাকল জামায়াত
মুক্তিযুদ্ধের সময় বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের ফাঁসি বহাল রাখার প্রতিবাদে বুধবার ভোর ৬টা থেকে ২৪ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে সংগঠনটি। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পর এক বিবৃতিতে এ কর্মসূচির ডাক দেন জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ।
urgentPhoto
এর আগে আজ সকালে মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এই অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন।
জামায়াতের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করায় হতাশা প্রকাশ করে এবং তিনিসহ আটক সব নেতাকর্মীর মুক্তির দাবিতে বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশব্যাপী ২৪ ঘণ্টার শান্তিপূর্ণ হরতাল কর্মসূচি চলবে।’
তবে হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স, ফার্মেসি ইত্যাদি হরতালের আওতামুক্ত থাকবে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে দাবি করা হয়, ‘সরকার জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য জামায়াত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও কাল্পনিক অভিযোগে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করে...। আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের আপসহীন নেতৃত্বে দিশেহারা হয়ে সরকার তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে তথাকথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়ের করে।...সরকারের দায়ের করা মামলাটি সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলক।’
এতে আরো দাবি করা হয়, ‘এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন যে, স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত মুজাহিদের বিরুদ্ধে ফরিদপুর জেলাধীন কোনো থানায় বা বাংলাদেশের অন্য কোনো থানায় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন সংঘটিত কোন অপরাধের জন্য কোন মামলা হয়েছে, এমন কোনো তথ্য তিনি তাঁর তদন্তে পাননি। মামলার আইও এটাও স্বীকার করেছেন যে, জনাব মুজাহিদ আলবদর, শান্তি কমিটি, রাজাকার বা আলশামস বা এ ধরনের কোনো সহযোগী বাহিনীর সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন, এমন কোনো তথ্য তিনি তাঁর তদন্তকালে পাননি।’
বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়েছে, ‘সরকারের দায়ের করা ৬ নম্বর অভিযোগে জনাব মুজাহিদকে বুদ্ধিজীবী হত্যার সাথে জড়ানোর ষড়যন্ত্র করা হয়। সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে তাঁকে ফাঁসানোর জন্য বুদ্ধিজীবী হত্যার এই অপবাদ রচনা করে। তাঁর বিরুদ্ধে দাখিল করা অভিযোগপত্রের কোথাও একটিবারের জন্যও বলা হয়নি যে, জনাব মুজাহিদ কবে কীভাবে কোন বুদ্ধিজীবীকে হত্যা বা অপহরণ করেছেন। কোনো অভিযোগেই সুনির্দিষ্ট দিন-তারিখ উল্লেখ নেই।
বুদ্ধিজীবী পরিবারের কোনো সদস্য, যাঁরা ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের কথিত ঘটনার ভিকটিম, তাঁদের কারো স্ত্রী বা সন্তান-সন্ততি ট্রাইব্যুনালে এসে জনাব মুজাহিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রদান করেননি।