হত্যাকাণ্ডের রায়ে আসামিদের শুধু অর্থদণ্ড!

খুলনায় এক বৃদ্ধ হত্যা মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও চার আসামিকে শুধু অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আরেক আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়ায় তাঁকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে খুলনার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এস এম সোলায়মান এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের প্রসিকিউটর (পিপি) আরিফ মাহমুদ লিটন এসব তথ্য জানান।
দণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন আবুল কাশেম ব্যাপারী, তাঁর ছেলে আবদুল হান্নান ব্যাপারী ও আকরাম ব্যাপারী এবং নাতি হাসান ব্যাপারী। তাঁদের প্রত্যেককে ২৫ হাজার করে মোট এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিকভাবে আদালতে দণ্ডের অর্থ জমা দিয়ে মুক্তি পান তাঁরা।
মনা মুন্সী (৫৬) নামের ওই বৃদ্ধ হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় রায়ে তাছলিমা বেগম নামের আরেক আসামিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
পিপি আরিফ মাহমুদ লিটন মামলার নথির বরাত দিয়ে জানান, নগরীর সোনাডাঙ্গা ময়লাপোতা (হরিজন কলোনি) এলাকায় ডিম বিক্রিকে কেন্দ্র করে ২০১০ সালের ১৬ অক্টোবর দুটি পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় মনা মুন্সী আহত হন। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ওই দিনই বিকেল ৪টার দিকে তিনি মারা যান। ওই দিনই নিহতের ছেলে আলাউদ্দিন মুন্সী বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা করেন।
এই মামলায় ২০১১ সালের ২৬ মে সোনাডাঙ্গা থানার এসআই মতিউর রহমান এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারার দ্বিতীয় খ-বর্ণিত অপরাধে চারজনকে দোষী সাব্যস্ত করে এ রায় দেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আরেকজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. রেজাউল ইসলাম।