কাকে-কখন হত্যার জন্য সাজা বোধগম্য নয় : মুজাহিদ
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/06/20/photo-1434787343.jpg)
বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের সাথে তাঁর আইনজীবীরা দেখা করেছেন। আজ শনিবার সকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অ্যাডভোকেট শিশির মনিরের নেতৃত্বে দেখা করতে যান আইনজীবীরা।
urgentPhoto
দেখা করে বেরিয়ে শিশির মনির জানান, মুজাহিদ তাঁদের বলেছেন, কাকে এবং কখন হত্যার দায়ে তাঁকে এই দণ্ডাদেশ দেওয়া হলো তা তাঁর বোধগম্য হয়নি।
শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর আইনজীবীদের আবার দেখা করার কথা বলেছেন আলী আহসান মুজাহিদ। সেই সময় তিনি রায় পড়ে পরবর্তী পদক্ষেপের কথা জানাবেন।
একই সাথে মুজাহিদ আইনজীবীদের রিভিউয়ের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন বলে জানান শিশির মনির। তিনি বলেন, আদালতের প্রতি মুজাহিদ শ্রদ্ধাশীল রয়েছেন, তাই রিভিউয়ের মাধ্যমে খালাস পাবেন বলে তিনি আশা করেন।
গত ১৬ জুন মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের ফাঁসির রায় বহাল রেখে রায় দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় দেন।
রায়ে বলা হয়, ৬ নম্বর অভিযোগ সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী হত্যা-গণহত্যার দায়ে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। ১ নম্বর অভিযোগ সাংবাদিক সিরাজউদ্দিন হোসেন হত্যার দায় থেকে মুজাহিদকে খালাস দিয়েছেন আদালত, এ অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল। এ ছাড়া ৭ নম্বর অভিযোগে ফরিদপুরের বকচর গ্রামে হিন্দুদের গণহত্যার দায়ে তাঁকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল, এর পরিবর্তে যাবজ্জীবর কারাদণ্ড দেন আপিল বিভাগ। ৫ নম্বর অভিযোগে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ, ৩ নম্বর অভিযোগে তাঁর পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের আদেশও বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
মুজাহিদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে সাতটি অভিযোগ আনা হয়। তার মধ্যে পাঁচটি আভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৩ সালের ১৭ জুলাই তাঁকে মৃত্যুদণ্ডাদেশসহ বিভিন্ন দণ্ডের রায় দেন ট্রাইব্যুনাল। এ ছাড়া দুটি অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে খালাস দেওয়া হয়।
ওই বছরই ১১ আগস্ট ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করেন মুজাহিদ। পরে ২০১৫ সালের ২৯ এপ্রিল আপিল বিভাগে মুজাহিদের আপিলের শুনানি শুরু হয়। ২৭ মে মামলার কার্যক্রম শেষে ১৬ জুন রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল।
আপিল বিভাগের রায়ের পর রায়টির অনুলিপি যাবে ট্রাইব্যুনালে। এর পর ট্রাইব্যুনাল মুজাহিদের বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করবেন। সেটা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি দেওয়া হবে মুজাহিদকে। এর পর রিভিউ আবেদনের জন্য ১৫ দিন সময় পাবেন আলবদরপ্রধান মুজাহিদ।
এর আগে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে একটি মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন গ্রেপ্তার হন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মুজাহিদ।