ভূমি কার্যালয়ে ‘কাইজান পদ্ধতি’

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার হেলালুদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘কাইজান’ হচ্ছে একটি জাপানি শব্দ। এর অর্থ হচ্ছে, ক্ষুদ্র পরিবর্তনের মাধ্যমে অবস্থার পরিবর্তন। জাপানি এ বিশেষ পদ্ধতির (কাইজান) মাধ্যমে ভূমি কার্যালয়গুলো ঢেলে সাজানো হয়েছে। এর ফলে ভূমি অফিসের কাজে গতিশীলতা এসেছে।
মান্ধাতা আমলের সেবা পদ্ধতির পরিবর্তন করে কাইজানের মাধ্যমে সেবার মান উন্নয়ন করা হয়েছে উল্লেখ করে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, এখন সহকারী কমিশনারদেরও (ভূমি) জনতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এতে করে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভূমি কার্যালয় নিয়ে যে নেতিবাচক মনোভাব ছিল, তা ক্রমে পরিবর্তন হচ্ছে।
শনিবার সকালে রাজশাহীর সার্কিট হাউস অডিটরিয়ামে ‘জমি ব্যবস্থাপনা ও সেবার মান উন্নতকরণে কাইজান’ শীর্ষক সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিভাগীয় কমিশনার। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আট জেলার সহকারী কমিশনাররা।
সভাপতির সূচনা বক্তব্যে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘ভূমি কার্যালয় নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে নানা কথা আছে। এ নিয়ে মাঝেমধ্যে পত্রপত্রিকায় নানা খবর প্রকাশিত হয়। সাধারণ মানুষকে ভূমি কার্যালয় নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করতে দেখা যায়। এ অবস্থার পরিবর্তনে সহকারী কমিশনারদেরই এগিয়ে আসতে হবে।’
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, জনগণ যে সেবার জন্য ভূমি কার্যালয়ে আসে, সেই সেবা দ্রুত দিতে হবে। স্বচ্ছতার মাধ্যমে জনসেবা দিতে হবে। এতে করে সাধারণ মানুষের মাঝে ভূমি কার্যালয় নিয়ে নেতিবাচক ধারণায় পরিবর্তন আসবে। ছোট ছোট পরিবর্তনের মাধ্যমেই ভূমি কার্যালয়ের কাজে আরো গতিশীলতা আনতে হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব ও ইমপ্রুভিং পাবলিক সার্ভিস (আইপিএস) প্রজেক্টের পরিচালক ফেরদৌস আক্তার, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মুনির হোসেন, জাইকার টিম লিডার ইউজিরো ফুজিরা ও রাজশাহী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী।
সম্মেলনে বগুড়া সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরাফাত রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) উত্তম কুমার ঘোষ, জয়পুরহাট সদর ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুফা ফেরদৌস, মান্দা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদেকুর রহমানসহ রাজশাহী বিভাগের আটজন সহকারী কমিশনার তাঁদের নিজ নিজ কার্যালয়ের ভূমি ব্যবস্থাপনা ও সেবা সম্পর্কিত বিষয়ে নেওয়া বিভিন্ন পরিবর্তনের বিষয় উপস্থাপন করেন।