রাজধানীর পল্টন থানার তিনটি মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ রোববার দুপুরে তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। একই সঙ্গে এসব মামলায় কেন তাঁকে স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।

পরে মির্জা ফখরুলের আইনজীবীরা জানান, বিএনপি নেতার মুক্তি পেতে আর কোনো বাধা নেই। ফখরুলের পক্ষে মামলার শুনানিতে অংশ নেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান ও ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফজলুর রহমান খান।

মামলার বিষয়ে মির্জা ফখরুলের আইনজীবী ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘পল্টন থানায় পুলিশ বাদী হয়ে দায়ের করা তিনটি মামলায় মির্জা ফখরুলকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর আগে আরো চারটি মামলায় হাইকোর্ট তাঁকে জামিন দিয়েছিল। এ সাতটি মামলায় তাঁর জামিন হওয়ায় তাঁর মুক্তিতে আইনি কোনো বাধা নেই।’

মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ৪ ও ৬ জানুয়ারি পল্টন থানায় গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগে মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। এ ছাড়া মতিঝিল থানায় তাঁর বিরুদ্ধে আরো কয়েকটি মামলা হয়েছিল।

চলতি বছর ৪ জানুয়ারি ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে পল্টন থানায় মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এরপর ৬ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে বের হওয়ার পর তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আগের দিন থেকে সেখানে অবস্থান করছিলেন তিনি।