গুলশান লেক ভরাটে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ

রাজধানীর গুলশান লেকে অবৈধভাবে মাটি ভরাট ও স্থাপনা নির্মাণের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আগামী সাতদিনের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান ও গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া নির্দেশ বাস্তবায়ন করে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে আদালতে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আজ সোমবার বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি জে এন দেব চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে জনস্বার্থে রিটটি করা হয়। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
আদালত একই সঙ্গে গুলশান লেকে মাটি ভরাট ও স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে কাউকে অনুমতি না দেওয়ার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে চার সপ্তাহের রুল জারি করেছেন।
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘শুনানিতে জলাধার আইন-২০০০ (মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের পৌর এলাকাসহ দেশের সকল পৌর এলাকার খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন, ২০০০) ও পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫ অনুযায়ী এসব স্থাপনা নির্মাণ অবৈধ ঘোষণার দাবি জানিয়েছি। আদালত শুনানি শেষে রুল ও মাটি ভরাট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন।’
অবৈধভাবে গুলশান লেকে মাটি ভরাট ও স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে মর্মে বিভিন্ন পত্রিকায় এসব সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর আদালতে রিট করলে আদালত তা বন্ধে নির্দেশ দেন ও রুল জারি করেন।
পরিবেশসচিব, রাজউক চেয়ারম্যান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার, গুলশান থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্ট আটজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গতকাল রোববার হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান হাইকোর্টে এই রিট করেন।