হাওর নিয়ে নোংরা রাজনীতি করছে বিএনপি : হানিফ
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2017/04/26/photo-1493224907.jpg)
সরকারের পক্ষ থেকে হাওরে ক্ষতিগ্রস্তদের সার্বিক সহযোগিতা করা হয়েছে। কিন্তু বিএনপি এটা নিয়ে নোংরা রাজনীতি করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যাতে নিরঙ্কুশভাবে বিজয় লাভ করতে পারে সে জন্য তাঁদের দল কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
আজ বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়ায় সাড়ে আট কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি সুইমিং পুলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন হানিফ।
হানিফ বলেন, ‘আগাম বর্ষা হওয়ার কারণে এই পানির ঢল থেকে আমাদের হাওরগুলো প্লাবিত হয়েছে বাঁধ ভেঙে। এটা ক্ষতি হইছে, ওখানে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, মানুষের চরম কষ্ট হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে এই ক্ষতিপূরণ কাটিয়ে ওঠার জন্য সার্বিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেক কৃষক যাতে খাদ্য পায়, চিকিৎসা পায় সে ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এরপরও বিএনপি অসহায় এই সমস্ত মানুষগুলার পাশে না দাঁড়িয়ে তাঁদেরকে নিয়ে নোংরা রাজনীতিতে মেতেছে। এটাকে রাজনীতির নোংরামি ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না।’
মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, গণতন্ত্রের সরকার হিসেবে। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের, তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের অধিকার আছে, আমরা সেটাতে বিশ্বাসী। কিন্তু রাজনৈতিক কর্মসূচির নাম করে কেউ যদি ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ করে, ভাঙচুর, জ্বালাও-পোড়াও করে জনগণের বিপর্যস্ত করতে চায়। অতীতে যেভাবে বিএনপি করেছে, ২০১৩ সালে, ২০১৫ সালে। এ ধরনের চিন্তাভাবনা নিয়ে কেউ যদি মাঠে নামতে চায়, তাহলে জনগণই এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেবে, কঠোরভাবেই জনগণ তাদের প্রতিহত করবে।’
নিজের দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব আছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহত্তম প্রাচীন রাজনৈতিক দল। এই দলের মধ্যে লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী আছে, এখানে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা আছে। এর পাশাপাশি আজকে গোটা বিশ্বে একটা সামাজিক অস্থিরতা আছে। বিশেষ করে তরুণ সমাজ, যুব সমাজ, ছাত্র সমাজের মধ্যে এই সামাজিক অস্থিরতা আছে। সেই অস্থিরতার কারণেই অনেকে ছোটখাট বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ছে, সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে।’
জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, ‘আমরা উদ্যোগ নিয়েছি, সাংগঠনিক প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমাদের তৃণমূল পর্যায়ে যে দ্বন্দ্ব আছে, যে ছোটখাট বিবাদ আছে এগুলো আমরা নিরসন করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশভাবে যাতে বিজয় অর্জন করতে পারে সেই পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি।’
অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন শিকদার বলেন, ‘বাংলাদেশে জঙ্গি উত্থানের সঙ্গে অন্য দেশের জঙ্গি উত্থানের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা যুবকদের যদি খেলা ও সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত করতে পারি, তবে আমরা আশা করতে পারি যে জঙ্গি থেকে মুক্ত হতে পারব। অন্য দেশে জঙ্গির যে উত্থান তাতে বিএনপির খুশি হওয়ার কিছু নেই। কেননা বাংলাদেশ কোনো কালেও জঙ্গি রাষ্ট্র হবে না। আমাদের সংস্কৃতির সাথে জঙ্গিবাদ মেলে না।’
জেলা প্রশাসক মো. জহির রায়হানের সভাপতিত্বে আলোচনা উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়ার কৃতী সন্তান বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক, বর্তমান নির্বাচক হাবিবুল বাসার সুমন, কৃতী সাতারু রুবেল রানা, সবুরা খাতুন, পুলিশ সুপার এস এম মেহেদী হাসান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অনুপ কুমার নন্দীসহ অনেকেই।