বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তি নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ। এ নিয়ে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। তবু বিরোধ মেটেনি। সেই বিরোধ অবসানে ছোট ভাইকে হত্যার পরিকল্পনা করেন বড় ভাই। এ জন্য বাড়ির উঠানেই দুটি কবর খোঁড়েন।

কিন্তু মা বিষয়টি পুলিশকে জানালে সেই পরিকল্পনা সফল হয়নি। পুলিশ গতকাল রোববার দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে। হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ পৌর এলাকার পূর্ব তিমিরপুরে এ ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পৌর এলাকার পূর্ব তিমিরপুরের মৃত অকিল উল্লাহর দুই ছেলে আবদুস সালাম (৪২) ও ফারুক মিয়ার (৩৮) মধ্যে বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। গত কয়েকদিন ধরে তা চরম আকার ধারণ করে। এ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। স্থানীয়ভাবে সালিস বৈঠক করেও এর কোনো সুরাহা হয়নি।

এর জের ধরে গত শুক্রবার রাতে বড় ভাই আবদুস সালাম তাঁর ছোট ভাই ফারুককে খুন করে দাফন করার জন্য বাড়ির উঠানে দুটি কবর খনন করেন। তিনি বাড়ির লোকজনকে জানান, ফারুককে খুন করে একটি কবরে দাফন করবেন এবং অপর কবরে সমাহিত হওয়ার জন্য তিনি আত্মহনন করবেন। এ খবর শুনে তাঁদের মা মাসুক বিবি বিষয়টি স্থানীয় লোকজনকে জানান। স্থানীয় লোকজন আবদুস সালামকে এই ধরনের চিন্তা-ভাবনা না করার জন্য বোঝাতে চেষ্টা করেন। এতে সালাম আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে নিরুপায় হয়ে গতকাল রোববার বিকেলে মাসুক বিবি নবীগঞ্জ থানার পুলিশকে বিষয়টি জানান।

পরে উপপরিদর্শক (এসআই) মলাই মিয়া ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আক্তারুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ গিয়ে দুই ভাই আবদুস সালাম ও ফারুক মিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। গতকাল রোববার বিকেলে দুই ভাইকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আতাউর রহমান বলেন, ‘ভাইকে খুন করে কবর দেওয়ার জন্য অগ্রিম কবর প্রস্তুত করায় আমরা বিস্মিত হয়েছি। তাদের মায়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’