বাঁশবাগান থেকে দুটি সুইসাইডাল ভেস্ট উদ্ধার : র্যাব

ঝিনাইদহ সদরের চুয়াডাঙ্গা গ্রামে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা দুটি বাড়ির একটি থেকে দুটি সুইসাইডাল ভেস্ট (বোমাসহ কোমরে বাঁধার জন্য বেল্ট) উদ্ধারের কথা জানিয়েছে র্যাব।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে র্যাবের কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
এএসপি জানান, সন্দেহভাজন জঙ্গি প্রান্তর বাড়ির বাঁশবাগান থেকে সুইসাইডাল ভেস্ট দুটি উদ্ধার করা হয়।
একই কথা জানান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমানও।
র্যাব জানায়, চুয়াডাঙ্গা গ্রামে নিহত জঙ্গি তুহিনের ভাই সেলিমের বাড়ি এবং তাঁর চাচাতো ভাই প্রান্তর বাড়ি ঘিরে রাখা হয়েছে।
সকালে ঝিনাইদহ র্যাবের কমান্ডার মেজর মনির আহমেদ বলেন, ‘পুলিশ কতগুলো অপারেশন করল, ধরা পড়ল, আগেও ধরা পড়ছিল। ওই জঙ্গি সার্চেরই একটা পর্যায়ে গিয়ে আমরা কয়েক দিন ধরে এখনো এই আশপাশে ঝিনাইদহ শহরের ভেতরে আরো কিছু জঙ্গি আস্তানা, তাদের ডাম্পিং পয়েন্ট রয়েছে। কিছু একটা আছে এ রকম।
সেটারই তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল নিশ্চিত হলাম মোটামুটি, এখনো নিশ্চিত হান্ড্রেড পার্সেন্ট যে এই দুইটা বাড়িতে যারা আছে, তারা জঙ্গিগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত বা জঙ্গি কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাদের কাছে সম্ভবত কিছু এক্সপ্লোসিভ বা গানজাতীয় কিছু আছে। যেগুলো তারা হয়তো বা বাড়ির ভেতরে রাখছে অথবা মাটির নিচে পুঁতে রাখতে পারে বা আশপাশে কোনো বাড়িতেও লুকিয়ে রাখতে পারে। আমরা সব সম্ভাবনাই বিবেচনা করতেছি। সবগুলো আমরা যাচাই করে দেখতেছি।’
মেজর মনির বলেন, ‘এমন হতে পারে যে কিছুই নেই। সেটাও হইতে পারে। তো আপাতত কোনো রিকভারি না হওয়া পর্যন্ত আমরা কনফার্ম করে বলতে পারতেছি না যে, আদৌ এখানে কী জিনিস আছে বা কারা কিসের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আমরা সন্দেহ করতেছি সেলিম ও প্রান্তকে।’
র্যাব কমান্ডার আরো বলেছেন, কাঁচাপাকা বাড়ি দুটির মাটিতে পুঁতে রাখা বিস্ফোরকদ্রব্য উদ্ধারের জন্য র্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল খুলনা থেকে রওনা হয়েছে। তারা আসার পর মূল অভিযান শুরু হবে। তবে বাড়ি দুটি জঙ্গি আছে কি না, সে বিষয়ে কিছু বলেননি মেজর মনির।
র্যাবের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়েছে, ঝিনাইদহে জঙ্গি আবদুল্লাহ ও তুহিন নিহত হওয়ার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ বাড়ি দুটির ওপর নজর রাখছিল। বাড়ি দুটির আশপাশে কাউকে ভিড়তে দেওয়া হচ্ছে না।