খাদ্য গুদাম শ্রমিকদের চাঁদাবাজি, ঠিকাদারদের ধর্মঘটের ডাক

রাজশাহীতে খাদ্য গুদাম শ্রমিকদের অব্যাহত চাঁদাবাজি বন্ধসহ তিন দফা দাবিতে আগামী ১ জুলাই থেকে রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় খাদ্য শস্য পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছেন ঠিকাদাররা।
রাজশাহী বিভাগীয় খাদ্য পরিবহন ঠিকাদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম জানান, খাদ্য ট্রাকে উঠানো-নামানোর জন্য সরকার নিয়োগ করা আলাদা শ্রমিক সরবরাহকারী ঠিকাদার আছেন। তাঁরাই শ্রমিকদের পারিশ্রমিক দিয়ে থাকেন। কিন্তু তারপরও পরিবহন ঠিকাদারদের কাছ থেকে একপ্রকার জোর করে বছরের পর বছর ধরে প্রতিদিন বিপুল অঙ্কের টাকা চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। ২০০৫ সাল থেকে ধারাবাহিক এ চাঁদাবাজি চলে আসছে।
শাহ আলম জানান, খাদ্য গুদাম শ্রমিকদের অব্যাহত চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে পরিবহন ঠিকাদাররা সংশ্লিষ্ট খাদ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে বারবার অভিযোগ করে আসছেন। কিন্তু এতে কোনো লাভ হয়নি। সর্বশেষ গত ২৬ জুলাই খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে তাঁরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এরপরও বিষয়টির সমাধান না হলে চাঁদাবাজি ও হয়রানি বন্ধসহ তিন দফা দাবিতে আগামী ১ জুলাই থেকে বিভাগের আট জেলায় খাদ্যশস্য পরিবহন ঠিকাদারদের ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
তিন দফা দাবির অন্য দুটি হলো খাদ্য শস্যের গুণগত মান যাচাইয়ের অজুহাতে পরিবহন ঠিকাদারদের হয়রানি করা যাবে না। তৃতীয়টি হলো খাদ্য গ্রহণের চালান বিধিসম্মত সময়ের মধ্যে প্রেরণ ও প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে।
খাদ্য পরিবহন ঠিকাদার সমিতির নেতা শাহ আলম অভিযোগ করে জানান, শ্রমিকরা খাদ্য লোড-আনলোডের যে চাঁদা ঠিকাদারদের কাছ থেকে আদায় করে, তার একটি বড় অংশ যায় ওই গুদামের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পকেটে। এতে তাদের প্রত্যক্ষ মদদে দিনের পর দিন খাদ্য পরিবহন ঠিকাদারদের হয়রানি করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা এস এম মহসিন বলেন, ‘এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ করার বিষয়টি আমি জানি না। তবে করলেও করতে পারে। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।’