প্রচণ্ড গরমে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন বিপর্যস্ত

তীব্র দাবদাহে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিদ্যুতের লোডশেডিং দাবদাহকে আরো তীব্র করে তুলেছে। গত কয়েকদিনে অসহনীয় গরমে জেলার মানুষ প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
তীব্র গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে শিশু-বৃদ্ধ সবাই লেবুর শরবত ও ডাব-শসা খেয়ে জীবন ধারণ করছে। বিশেষ করে শিশু ও দিনমজুর শ্রেণির মানুষ পড়েছে বেশি বিপাকে। তীব্র গরমের কারণে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। হাসপাতাল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে লোডশেডিংয়ের কারণে দুর্ভোগের মাত্রা বেড়েই চলেছে। গরমের কারণে পণ্যের কেনাবেচা অনেক কমে গেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
শহরের মুদি দোকানি কামাল হোসেন বলেন, ‘গরমের জ্বালায় তো টেকা যাচ্ছে না। তারপরে কারেন্ট নেই, সারা রাত ঘুম নেই। গরমের জ্বালায় ছেলে-পেলেদের খুব কষ্ট।’
শ্রমিক মোহাম্মদ বাবু বলেন, ‘গরমে কাজ করতে পারছি না। রোদের তাপে বাইরে বের হতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।’
চুয়াডাঙ্গা শহরের কাপড়ের দোকানি হাসান আহমেদ বলেন, গরমের জন্য মানুষ বাড়ির বাইরে বের হতে পারছে না। তাই দোকানে ক্রেতারা কম আসছে, বিক্রিও কমে গেছে। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা সামাদুল হক জানান, গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে। আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি হওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (শিশু) ডা. আসাদুর রহমান মালিক বলেন, গরমে বাসি-পচা খাবার খাওয়া যাবে না। ফ্রেশ খাবার খেতে হবে। বেশি করে পানি ও তরল খাবার খেতে হবে। ফলের জুস বা শরবত খাওয়া যাবে। তবে দোকানের বা ফুটপাতেরটা নয়।