চট্টগ্রামে ট্রেন-বাসের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২৫

চট্টগ্রামের ইস্পাহানী এলাকায় আজ বৃহস্পতিবার ট্রেন ও বাসের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৫ জন।
রেলের নিয়ন্ত্রণকক্ষে কর্তব্যরত ব্যক্তিদের দায়িত্বহীনতায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন দুই গেটম্যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ বেলা সোয়া ১১টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেন ইস্পাহানী এলাকায় রেলক্রসিং অতিক্রম করার পরপর রেলগেট খুলে দেওয়া হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে চাঁদপুর থেকে মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেন এসে পড়ে। এ সময় রেললাইনের ওপর থাকা সিটি সার্ভিসের একটি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান। এতে আহত হন আরো ২৫ জন। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় দুজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনা তদন্তে বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা ফিরোজ ইফতেখারকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
গেটম্যান কাওসার বলেন, ‘আমার দায়িত্ব হচ্ছে গাড়ি আসার সময় আমি গেট লাগাব। আমাকে টেলিফোন করবে স্টেশন থেকে গাড়ি ছাড়ার আগে। আমাকে শুধু বলছে, যেটা আপ থেকে যাবে সেটার কথা। ডাউন থেকে যেটা আসবে, সেটার কথা বলেনি।’ মাঝেমধ্যে টেলিফোন বন্ধ থাকে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘টেলিফোন তো নষ্ট। ইলেকট্রিক-জাতীয় জিনিস। মুহূর্তে ভালো, এখন মুহূর্তে খারাপ। এখন এটার জন্য আমরা অবজেকশন দিছি।’
অস্থায়ী গেটম্যান কামরুল হাসান বলেন, ‘আমাদের জাস্ট কর্ণফুলীর কথা বলা হয়েছে। কিন্তু মেঘনাটা যখন আসতাছে, তখন সেটা কিন্তু আমরা খেয়াল করিনি। গেইট তো ওঠায়ে দিছি। রং সাইড, রাইট সাইড, চার সাইডে গাড়ি । এই টাইমে রোডটা যখন জ্যাম খায়ে গেছে, পুলিশ বলতেছে, ভাই গাড়ি কিন্তু একটা ঢুকে যাচ্ছে। গাড়ি তো অনেক কাছে। ওনারাসহ অনেক চেষ্টা করছি আমরা। আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। এই বাসটা শেষমেশ মার খাইল আর কী।’
পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম আজিজুর রহমান বলেন, ‘দুর্ঘটনার কথা শোনার পর আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিধ্বস্ত গাড়িটি সরিয়ে এনেছি। নিহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছে।’