‘মোরা’ মোকাবিলায় প্রস্তুত কক্সবাজার, আশ্রয় হবে ৫ লাখ মানুষের

বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ ধীরে ধীরে উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। কক্সবাজার জেলার উপকূলবর্তী ৫৩৮টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এগুলোতে অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে বলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত জরুরি সভায় জানানো হয়েছে।
আজ সোমবার আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ তথ্য মতে, এটি আরো উত্তর দিকে সরে এসেছে। এখন কক্সবাজারের উপকূল থেকে ৩৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে। ‘মোরা’র প্রভাবে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ আরো উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার ভোরে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমের সময় ঘণ্টায় ৭০-৯০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি সমুদ্রবন্দরের খুব কাছ দিয়ে অথবা ওপর দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের সার্বিক প্রস্তুতির জন্য আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলা ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কমিটির বিশেষ ওই সভায় জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন সভাপতিত্ব করেন।
ওই সভা থেকে জানানো হয়, কক্সবাজার জেলার উপকূলবর্তী ৫৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র এরই মধ্যে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। একই সঙ্গে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সার্বক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়েছে। পরিস্থিতি সম্পর্কে উপকূলে সর্তকতামূলক মাইকিংসহ নিরাপদে আশ্রয় নিতে প্রচার শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় নেওয়া হবে। একই সঙ্গে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৮৮টি মেডিকেল দল ও ১৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক।