চুরি হওয়া নবজাতক উদ্ধার, মা-মেয়েসহ গ্রেপ্তার ৩

বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতক তাসকিন আকনকে উদ্ধার করেছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন সদ্যস্যরা। এ ঘটনায় মা-মেয়েসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর মধ্য দিয়ে জন্মের তিনদিনের মাথায় চুরি হওয়া তাসকিন বাবা-মায়ের কোলে ফিরে এলো। আজ তার বয়স হলো আটদিন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল র্যাব ৮-এর সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আনোয়ার উজ জামান। তিনি জানান, গত ১ জুন বরিশাল জেলার মেহেন্দীগঞ্জের খোরকী এলাকার মো. আনোয়ার হোসেনের (২৫) স্ত্রী মোসা. ছালমা বেগম (২৩) বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডে ভর্তি হন। সেখানে সিজারিয়ানের মাধ্যমে তাসকিন আকন নামে একটি ছেলেসন্তান প্রসব করেন। ওই ওয়ার্ডে বরগুনার তালতলী থানার নলবুনিয়া এলাকার রিনা বেগম (২২) চিকিৎসাজনিত কারণে ওই সময়ে ওই ওয়ার্ডে অবস্থান করছিলেন। ৪ জুন সকালে অপহৃত নবজাতক তাসকিনকে নিয়ে আসামিরা শেবাচিম হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। কিন্তু আসামিরা হাসপাতালে কোনো ঠিকানা না দেওয়ায় অনেক খোঁজাখুঁজি করেও শিশুটিকে পাওয়া যাচ্ছিল না। তাই ওই দিনই নবজাতকের বাবা মো. আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। পাশাপাশি র্যাবের কাছে ৫ জুন একটি লিখিত আবেদন দাখিল করেন।
র্যাব জানায়, র্যাব ৮-এর সহকারী পরিচালক মো. হাসছান আলীর নেতৃত্বে অভিযান শুরু হয়। অভিযানে বরগুনার নলবুনিয়া থেকে মো. ইউনুস হাওলাদারের স্ত্রী হাওয়া বিবিকে (৪৫) গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্যমতে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লায় অভিযান চালানো হয়। আজ ভোরে পরিচালিত ওই অভিযানে নবজাতক শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। একসঙ্গে হাওয়া বিবির মেয়ে রিনা বেগম (২২) ও তাঁর স্বামী মো. সোলায়মান হোসেনকে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া তিনজনকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করার প্রস্তুতি চলছে।
র্যাব ৮-এর অধিনায়ক বলেন, মূলত রিনা বেগমের কোনো সন্তান নেই। তাঁরা এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে নবজাতক তাসকিনের বাবা আনোয়ার হোসেন ও মা ছালমা বেগম র্যাবের সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন। এ সময় র্যাবের উপ-অধিনায়ক মেজর আদনান কবির, সহকারী পরিচালক মো. হাছান আলী উপস্থিত ছিলেন।